শনিবার সকালে ১১টায় অনুষ্ঠিত এই জানাজায় মুহিতের ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অংশ নেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসেনসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা, সাবেক ও বর্তমান সচিব, অর্থনীতিবিদসহ অনেকে।
জানাজার পর মসজিদ প্রাঙ্গণে কফিন রাখা হয় তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
আগের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আজাদ মসজিদের পর সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা হবে।
তবে সংসদ ভবনে জানাজা হচ্ছে না। আজাদ মসজিদ থেকে কফিন নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিলেটে রোববার জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে মুহিতকে।
৮৮ বছর বয়সী মুহিত শুক্রবার রাতে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিত আওয়ামী লীগ সরকারে টানা দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এম সাইফুর রহমানের পাশাপাশি মুহিতও সবচেয়ে বেশি বার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।
মুহিত ২০০৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপরের সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচিত হন তিনি।