লিগ ওয়ানে শুক্রবার রাতের রোমাঞ্চকর ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। জোড়া গোল করা এমবাপে অবদান রাখেন আশরাফ হাকিমির গোলে।
ম্যাচের শুরুতেই স্ত্রাসবুরকে এগিয়ে নেন কেভিন গামেইরো। এক পর্যায়ে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়া দলটি মার্কো ভেরাত্তির আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায়। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে অঁতনি কেসির গোলে ফেরায় সমতা।
প্রতিপক্ষের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। দারুণ গতিতে প্রেসনেল কিম্পেম্বেকে পেছনে ফেলে লুকাস পেরিনের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জাল খুঁজে নেন গামেইরো।
জবাব দেবে কী, শুরুর দিকে নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় পিএসজিকে। অষ্টম মিনিটে একটুর জন্য গোলমুখে চমৎকার ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি গামেইরো। পরের মিনিটে আবারও জালে বল পাঠায় স্ত্রাসবুর, কিন্তু অফসাইডের জন্য গোল মেলেনি।
ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় সফরকারীরা। ১৮তম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। তবে নেইমারের কর্নারে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সের্হিও রামোস।
এর পাঁচ মিনিট পর চমৎকার ফিনিশিংয়ে সমতা আনেন এমবাপে। পিএসজির রক্ষণে পেরিন বল হারালে পেয়ে যান কিম্পেম্বে। তার বাড়ানো বল ধরে কিছুটা এগিয়ে মাঝমাঠ থেকে বাঁয়ে এমবাপেকে খুঁজে নেন নেইমার। আড়াআড়ি ভেতরে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
একটু পর লিওনেল মেসির ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে ফেরান গোলরক্ষক। ৩১তম মিনিটে ব্যর্থ করে দেন নেইমারের শট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫০ গজ দূর থেকে আচমকা শট নিয়ে সফল প্রায় হয়েই যাচ্ছিলেন রামোস। চার মিনিট পর দূরপাল্লার শট একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি স্ত্রাসবুরের সানিন প্রেচিচ।
৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। নেইমারের ডিফেন্স চেরা পাসে কাট ব্যাক করেন এমবাপে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বাকিটা সারেন হাকিমি।
চার মিনিট পর জিকুর ‘উপহার’ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান আরও বাড়ান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে দুর্বল ব্যাক পাস দেন জিকু। অনায়াসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপে।
আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ২৪তম গোল।
৭৫তম মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় ব্যবধান কমায় স্ত্রাসবুর। কর্নার থেকে হাবিব দিয়ালোর হেড ভেরাত্তির গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তেমন কিছু করার ছিল না দোন্নারুম্মার।
চার মিনিট পর একটুর জন্য গামেইরোর শট লক্ষ্যে থাকেনি, বেঁচে যায় পিএসজি।
৮৪তম মিনিটে মেসির পাসে একটুর জন্য শট নিতে পারেননি এমবাপে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের পাস আরেকটু গতিময় হলে হয়তো হ্যাটট্রিক হয়ে যেত বিশ্বকাপ জয়ী তারকার। পাঁচ মিনিট পর মেসির শট ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক।
৯০তম মিনিটে কাছের পোস্টে দিয়ালোর প্রচেষ্টা একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। এরপরই সমতাসূচক গোল। যোগ করা পাঁচ মিনিটের দ্বিতীয় মিনিটে খুব কাছ থেকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন কেসি।
দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেওয়ারও সুযোগ এসেছিল তার সামনে। শেষ মিনিটে দিয়ালোর ফ্লিকে শট নিয়ে তিনি একটুর জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তাতে হারের হাত থেকে বেঁচে যায় শিরোপা নিশ্চিত করার পর প্রথমবার লিগ ওয়ানে খেলতে নামা পিএসজি।
৩৫ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৭ ড্রয়ে চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট হলো ৭৯।