ক্যাটাগরি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে স্কুল বন্ধ করেছে বেইজিং

চীনের রাজধানীতে গত
২২ এপ্রিল
থেকে এ
পর্যন্ত দুইশর
বেশি কোভিড
রোগী শনাক্ত
হয়েছে বলে
বেইজিংয়ের এক কর্মকর্তার বরাত
দিয়ে জানিয়েছে
নিউ ইয়র্ক
টাইমস।

রোগীর এ সংখ্যা
বিশ্বের বেশিরভাগ
অঞ্চলের তুলনায়
নগণ্য হলেও
চীনের কর্মকর্তাদের
জন্য তা উদ্বেগের। দেশটিতে গত ২ বছর ধরে
করোনাভাইরাস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণেই ছিল।

চীনের কেন্দ্রীয় সরকার
এখনও ভাইরাসকে
সঙ্গী করে
না বেঁচে
স্থানীয় সংক্রমণ
নিশ্চিহ্ন করার নীতিতেই আস্থা রাখছে।

মে দিবস উপলক্ষে
শনিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে ৫ দিনের পূর্বনির্ধারিত
ছুটি শুরুর আগের দিন শুক্রবার বেইজিংয়ের স্কুলগুলো
বন্ধ করে
দেওয়া হয়। ছুটি শেষ হওয়ার পর আগামী বৃহস্পতিবার
(৫ এপ্রিল) থেকে স্কুল খুলবে
কিনা সে
বিষয়ে পরে
সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কর্মকর্তারা
জানিয়েছেন।

বেইজিংয়ের ২ কোটি
২০ লাখ
বাসিন্দার অধিকাংশকেই গত সপ্তাহ থেকে
কয়েক দফার
গণশনাক্তকরণ পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে
হচ্ছে।   তবে এখন পর্যন্ত
বেইজিংকে সাংহাইয়ের
মতো শহরজুড়ে
লকডাউনের মতো
পদক্ষেপ নিতে
হয়নি।

এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক
কেন্দ্র সাংহাইকে
করোনাভাইরাসের তুলনামূলক বড় এক প্রাদুর্ভাব
মোকাবেলায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। শহরটির অনেক
বাসিন্দাকে এক মাসেরও বেশি সময়
ধরে গৃহবন্দি
থাকতে হচ্ছে। শহরটিতে এ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫০
হাজারেরও বেশি
কোভিড রোগী
শনাক্ত হয়েছে আর তাদের মধ্যে ৩৩৭ জনের মৃত্যু
হয়েছে।  

বৃহস্পতিবারও শহরটিতে ৫২ জনের
মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া
গেছে। 

ছবি: রয়টার্স

ছবি: রয়টার্স

সম্ভবত সাংহাইয়ের অর্থনৈতিক
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বেইজিংয়ে
এখন পর্যন্ত
আলাদা আলাদা
ভবন ও
রাস্তায় লকডাউন
দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার পর্যন্ত রাজধানী
শহরের বিভিন্ন
অংশে অন্তত
৬০টি ভবন
ও এর
পাশাপাশি কিছু
রাস্তা ও
এলাকা লকডাউনের
আওতায় পড়েছে;
এর বাইরেও
অনেক এলাকায়
নানান বিধিনিষেধ
দেওয়া হয়েছে
বলে জানিয়েছে
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত
সংবাদপত্র বেইজিং ডেইলি।

তবে এসব বিধিনিষেধ
কত লোকের
ওপর প্রভাব
ফেলবে, তা
পরিষ্কার হয়নি।

প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের
এসব পদক্ষেপ
চলতি সপ্তাহের
ছুটির আনন্দে
ছায়া ফেলবে
বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেসব
জায়গা বন্ধ
রাখতে বলা
হয়েছে তার
মধ্যে বড়
বিলাসবহুল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর বেইজিং এসকেপি-ও আছে।

কর্মকর্তারা লোকজনকে বেইজিং
ছাড়তে ও
‘অপ্রয়োজনীয়’
জমায়েতে অনুৎসাহিতও
করছেন।

গত বছরের একই
সময়ের তুলনায়
এখন মহাসড়কগুলোতে
যানবাহন চলাচল
৪০ শতাংশ
কম হবে
বলে অনুমান
করছে বেইজিংয়ের
ট্রাফিক কমিশন।

রেল ও আকাশপথে
এবং এক
প্রদেশ থেকে
অন্য প্রদেশে
যাতায়াতও কম
হবে বলে
ধারণা করা
হচ্ছে।

সামাজিক এবং অর্থনৈতিক
ক্ষতি সত্ত্বেও
চীনা কর্মকর্তারা
লকডাউন ও
গণশনাক্তকরণ পরীক্ষাকেই করোনাভাইরাসের
প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের একমাত্র পথ হিসেবে
দেখছেন।

শুক্রবার দেশটির জাতীয়
স্বাস্থ্য কমিশনের উপপরিচালক লি বিন
এই কৌশলকে
চীনের ‘জাদুর
কাঠি’ হিসেবে
অভিহিত করেছেন।

আরও পড়ুন:


কোভিড: চীনের রাজধানীতে বাড়ছে বিধিনিষেধ
 

সংক্রমণ বাড়ায় বেইজিংয়ের চাওইয়াংয়ে কোভিড শনাক্তে গণপরীক্ষা শুরু
 

লকডাউনে সাংহাইয়ে খাবারের জন্য আর্তনাদ
 

সাংহাইয়ে কোভিডে একদিনে ১২ মৃত্যু, বাড়ছে ক্ষোভ
 

সাংহাইয়ের ২ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দার কোভিড পরীক্ষা করা হচ্ছে
 


শূন্য কোভিড নীতি: সাংহাইয়ে বাবা-মা থেকে আলাদা হচ্ছে শিশু