প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবারের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে লিভারপুল। একমাত্র গোলটি করেন নাবি কেইতা।
কষ্টের এই জয়ের পর ৩৪ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৭ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট হলো ৮২। এক ম্যাচ কম খেলা সিটির ২ পয়েন্ট কম নিয়ে আছে দুইয়ে।
শনিবার রাতেই অবশ্য শীর্ষে ফেরার সুযোগ পাচ্ছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। লিডস ইউনাইটেডের মাঠে জিতলেই শিরোপা ভাগ্য নিজেদের হাতে নেবে সিটি।
প্রত্যাশিত আক্রমণাত্মক শুরুর পর ১৯তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় লিভারপুল। ডি-বক্সের বাইরে দিয়োগো জটাকে বল দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন কেইতা। এরপর ফিরতি পাস পেয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন গিনির মিডফিল্ডার।
৩৯তম মিনিটে জালে বল পাঠান নিউক্যাসলের মিগেল আলমিরন। তবে প্যারাগুয়ের এই মিডফিল্ডার অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
৬৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন সাদিও মানে। ডান দিক দিয়ে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আক্রমণে ওঠা জো গোমেজ বল বাড়ান বক্সের মুখে। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন দারুণ ছন্দে থাকা সেনেগালের ফরোয়ার্ড। আগের সাত ম্যাচে ৬ গোল করা তারকার এমন মিস দেখে ডাগআউটে ক্লপের মাথায় হাত উঠে যায়।
ব্যবধান ন্যুনতম, সামান্য ভুলেই শিরোপা সম্ভাবনায় লাগতে পারে বড় ধাক্কা। তাই কিছুক্ষণ পরই মানেকে তুলে মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা মোহামেদ সালাহকে নামান কোচ।
শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান না বাড়লেও কোনো ধাক্কাও সইতে হয়নি লিভারপুলকে। জমে ওঠা শিরোপা লড়াইয়ে এবার দেখার বিষয়, প্রতিদ্বন্দ্বীর চাপ সামলে সিটি আবারও শীর্ষে ফিরতে পারে কি-না।