ওই জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবহনের সময় রেলপথ
ফাঁকা রাখতে কয়েকশ যাত্রীবাহী ট্রেনও বাতিল হয়েছে, শুক্রবার তারা এ কথা জানান বলে জানিয়েছে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভারতের কয়লা উত্তোলনের ৮০ শতাংশই যাদের
হাত দিয়ে হয়, সেই রাষ্ট্রপরিচালিত কোম্পানি কোল ইন্ডিয়া এপ্রিলে ২৭ দশমিক ২ শতাংশ উৎপাদন
বাড়িয়েছে, বলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রণালয়।
কয়লা পরিবহনের পথ খালি রাখতে কেন্দ্রীয়
সরকারচালিত ভারতীয় রেলওয়ে এখন পর্যন্ত ৭৫৩টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবাও বাতিল করেছে।
আগামী তিন বছরের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে
ও মজুদ বাড়াতে ভারত তার রাজ্যগুলোকে কয়লা আমদানি বৃদ্ধির নির্দেশনা দিয়েছে বলে বুধবার
রয়টার্স দেশটির বিদ্যুৎ সংকটের তীব্রতা নিয়ে করা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল।
নয় বছরের মধ্যে এবারই দেশটিতে কয়লার মজুদ
গ্রীষ্মপূর্ববর্তী সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে, অথচ বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে তরতরিয়ে।
“তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে
গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের নজিরবিহীন ঘাটতি মোকাবেলায় সরকার দেশজুড়ে কয়লার গাড়ি (ট্রেন)
চলাচলে অগ্রাধিকার দিতেই যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়,” বলেছে ভারতের
সরকার।
কতদিন পর্যন্ত এভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন
বাতিল হতে পারে তার কোনো ধারণা দেয়নি তারা।
ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের
প্রায় ৭৫ শতাংশই হয় কয়লা থেকে; দেশটিতে বছরে শতকোটি টনের বেশি কয়লা লাগে, এর তিন-চতুর্থাংশই
যায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেলওয়ে
৪২৭টি ট্রেনে কয়লা তুলেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। তারা প্রতিদিন গড়ে ৪১৫টি ট্রেনে
কয়লা পরিবহনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু এখন কয়লার জন্য দিনে অন্তত ৪৫৩টি ট্রেন
দরকার।
আদালতের নির্দেশিত এক বৈঠকে
মঙ্গলবার ভারতের বিদ্যুৎ সচিব জানান, রেলওয়ে তাদেরকে প্রতিদিন গড়ে ৩৯০টি করে ট্রেন
সরবরাহ করছে, যা চাহিদার তুলনায় ১৪ শতাংশ এবং রেলওয়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতিরও ৬ শতাংশ
কম।