উপজেলার
গোপালপুর বাজারে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে শনিবার তারা এই বিক্ষোভ দেখান। এতে সড়কে কয়েকশ
যানবাহন আটকা পড়ে জট তৈরি হয়।
এক ঘণ্টা
অবরোধ চলার পর বেলা ১২টার দিকে পুলিশের অনুরোধে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করেন বলে মুকসুদপুর
সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহিনুর চৌধুরী জানান।
সদর উপজেলার
হরিদাপুর গ্রামের ইনছান মুন্সী সাব-ঠিকাদার হিসেবে সরাইকান্দি গ্রামে একটি রাস্তার
কাজ করছেন। সেই কাজ নিয়ে ইনছান মুন্সীর সঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ
মাসুমের দ্বন্দ্ব বাধে।
মাসুম দাবি করেন, “কাজের মান খারাপ হওয়ায় এলাকার
ছোট ভাই-ব্রাদাররা কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে
বিষয়টি আমি মিটিয়ে দিই। এতে ইনছান মুন্সী আমার বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করেন।
“বৃহস্পতিবার
ওই মামলার হাজিরা দিয়ে আমি গ্রামের বাড়ি সরাইকান্দিতে ফিরছিলাম। পথে ঠিকাদার ইনছান
মুন্সী ও তার লোকজন আমাকে লোহার রড, হকিস্টিক ও কোদালের হাতল দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সড়কের
পাশে ফেলে রেখে যায়। তারা আমার পকেট থেকে টাকা ও মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়।”
এর প্রতিবাদে
তারা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান বলে তার দাবি। তবে এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাসুম
গোপালগঞ্জ থানায় মামলাও করেন।
থানার
ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষ মামলা করেছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।