শনিবার সকালে পশ্চিম হাইদগাঁও এলাকায়
বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান জসিম ও তার ছেলে মুশফিক উদ্দিন ওয়াসিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিতেন কান্তি গুহর উপর হামলার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার
করা হয়েছে।”
শুক্রবার ইফতার মাহফিলের ব্যানারে
‘নাম না থাকায়’ অনুষ্ঠানস্থলে
উপস্থিত হয়ে পটিয়ার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন গুহকে গাছে বেঁধে
মারধর করা হয়।
মাথায় আঘাত এবং হাত ভেঙে দেওয়ার পর
জিতেন গুহকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তার ছোট ভাই তাপস গুহ বাদী হয়ে ৭ জনের
নাম উল্লেখ করে এবং ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন।
গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় জিতেনের
রক্তাক্ত ছবি শুক্রবার সন্ধ্যার পর ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা
গাউসিয়া কমিউনিটি সেন্টারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। চেয়ারম্যান
ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জসিমের নেতৃত্বে সেখানে হামলা হয় বলে অভিযোগ
এসেছে।
গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী
প্রার্থী হয়ে জয়ী হন জসিম। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে বহিষ্কারের
সুপারিশ কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবারের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্থানীয় সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন
জিতেন কান্তি গুহ। কিন্তু ব্যনারে ইউপি চেয়ারম্যান জসিমের নাম ছিল না।