‘কিউ২ ২০২২’ আয়োজনের মাধ্যমে বছরের প্রথম
তিন মাসে আয়ের হিসাব, অ্যাপল বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছে গেল বৃহস্পতিবার।
এই হিসাব অনুসারে বিশ্লেষকদের ধারণাকেও
অতিক্রম করে গেছে অ্যাপল। ফলে, বেশিরভাগ পণ্যেই ব্যাপক আয় ও লাভের মুখ দেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কেবল ব্যাতিক্রম আইপ্যাড-এর বেলায়।
‘কিউ২ ২০২২’-তে বেশিরভাগ এ বছরের জানুয়ারি,
ফেব্রুয়ারি ও মার্চের হিসাবের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে নয় হাজার ৭৩০ কোটি ডলার আয়
দেখিয়েছে অ্যাপল।
অ্যাপলের এই আয় আগের বছরের চেয়ে নয় শতাংশ
বেশি। এতে, প্রতিষ্ঠানটি আড়াই হাজার কোটি ডলার মুনাফা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ
করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট আর্স টেকনিকা।
প্রতিটি পণ্যকে পাঁচটি ধাপের যে কোনো
একটি চিহ্নিত করে বিনিয়োগকারীদের আয়ের হিসাব দিয়ে থাকে অ্যাপল। এতে সেবা বিভাগের পণ্য
হিসেবে রয়েছে ‘আইক্লাউড’, ‘অ্যাপ স্টোর’, ‘অ্যাপল কার্ড’ এবং ‘অ্যাপল মিউজিক’।
অন্যান্য পণ্য ধাপে ‘অ্যাপল ওয়াচ’ ও
‘এয়ারপড’ দুটোই রয়েছে। পাশাপাশি, ‘অন্যান্য পণ্য’ হিসেবে বিবেচিত নয়, এমন অনেক ডিভাইসের
‘সংগ্রহ’ রয়েছে এই ধাপে।
‘আইফোন’, ‘ম্যাক’ ও ‘আইপ্যাড’ সম্পর্কে
আলাদা কিছু বলার নেই, কারণ এদের নামেই পরিচিতি রয়েছে।
আইফোন থেকে পাঁচ হাজার ৫৭ কোটি ডলার
আয় করেছে অ্যাপল, যা আগের বছরের চেয়ে সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেশি।
প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সেবা থেকে আয়
হয়েছে এক হাজার ৯৮২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১৭.২৮ শতাংশ বেশি।
ম্যাক থেকে আয় হয়েছে এক হাজার ৪৩ কোটি
ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪.৭৩ শতাংশ বেশি।
অন্যান্য পণ্য থেকে আয় হয়েছে ৮৮২ কোটি
ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১২.৩৭ শতাংশ বেশি।
আইপ্যাড থেকে আয় হয়েছে ৭৬৫ কোটি ডলার,
যা আগের বছরের তুলনায় এক দশমিক ৯২ শতাংশ কম।
বিনিয়োগকারীদের দেওয়া বিবৃতিতে অ্যাপল
সিইও টিম কুক কৃতিত্ব দিয়েছেন সেসব ব্যবহারকারীকে, যারা অ্যান্ড্রয়েড থেকে ডিভাইস বদলে
আইফোনে এসেছেন। তাদের কারণেই বছরের প্রথম তৃতীয়াংশে, ডিভাইসটি সফলভাবে বিক্রি হয়েছে।
পাশাপাশি, ‘এম১’ চিপ পরিবারকে ম্যাকের সাফল্যের জন্যে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।
আইপ্যাডের বিষয়ে, পণ্য সরবরাহ সংক্রান্ত
জটিলতার কথা উল্লেখ করেছেন কুক।
‘শেয়ার বাইব্যাক’-এর জন্য নয় হাজার
কোটি ডলার পর্যন্ত অনুমোদন দিয়েছে অ্যাপলের পরিচালনা পর্ষদ। সিএনবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী,
২০২১ সালে ‘শেয়ার বাইব্যাক’-এ আট হাজার ৮৩০
কোটি ডলার খরচ করেছিল অ্যাপল।