সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
অধ্যাপক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট জেলা ও মহানগর
আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কালো ব্যাচ ধারণ ও ঈদের
পরদিন মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
৮৮ বছর বয়সী মুহিত শুক্রবার রাতে ঢাকার
ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিত
আওয়ামী লীগ সরকারে টানা দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। অর্থমন্ত্রী
হিসেবে এম সাইফুর রহমানের পাশাপাশি মুহিতও সবচেয়ে বেশি বার জাতীয় বাজেট পেশ করেন।
মুহিত ২০০৮ সালে সিলেট-১ আসন থেকে প্রথম
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপরের সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচিত হন তিনি।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার
বিকালে সড়ক পথে ঢাকা থেকে মুহিতের মরদেহ সিলেটে আনা হবে। রাতে মরদেহ তার বাসবভন নগরীর
ধোপাদিঘির পাড়ের হাফিজ কমপ্লেক্সে রাখা হবে।
মুহিতের শেষ জানাজা রোববার দুপুর ২টায় সিলেট
সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে নগরীর রায়নগর এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে
তার দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে রোববার বেলা ১২টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা
নিবেদনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে দুপুর ১টা
পর্যন্ত মরদেহ রাখা হবে।
আবুল মাল আবদুল মুহিতকে শুধু সিলেটের নয়,
বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ও গর্ব বলে উল্লেখ করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি
মাসুক উদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, “দেশের অর্থনীতিকে শক্ত অবস্থানে
নেওয়ার ক্ষেত্রে তার অবদান অবিস্মরণীয়। বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের
দেশে রূপান্তরিত করতে মুহিতের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।“
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
বলেন, “আবুল মাল আবদুল মুহিতের মতো একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদকে
হারিয়ে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।“
সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান
হাবিব বলেন, “আবুল মাল আব্দুল মুহিত দেশের অর্থনৈতিক ভীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
তার হাত ধরেই দেশের সব অগ্রযাত্রা সাধিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১২টি বাজেট
উপস্থাপন করেছেন। মুহিতের এ অবদান জাতি সারাজীবন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।”
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু
চৌধুরী বলেন, “বহু গুণের আধিকারী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে হারিয়ে আমরা রাজনৈতিক অভিভাবক-শূন্য
হয়ে গেলাম। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন। পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি
সারাদেশে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তার মৃত্যু সমগ্র জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
আরও
পড়ুন:
আবুল মাল আবদুল মুহিতের জীবনাবসান
মুহিত: ‘মহাতৃপ্তির জীবন’ পেরিয়ে
‘চলে যেতে’ চাওয়া মুহিত গেলেন সবার শ্রদ্ধা নিয়ে
আবুল মাল আবদুল মুহিত: সাহিত্যের ছাত্র থেকে অর্থনীতির জটিল জগতে