শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার
বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে বাহারছড়া পুলিশ
তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ জানান।
আহত দুই সদস্য হলেন- বাহারছড়া পুলিশ
তদন্তকেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জামাল মীর ও কনস্টেবল মো. ইমরান।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত শামশুল আলম ওরফে এ
টি এম শামসু (৩৫) বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক এবং বাহারছড়ার
শীলখালী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শামলাপুর বাজারের
দোকানি নুর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, শামশুলকে গ্রেপ্তার করতে শুক্রবার রাতে পুলিশ
আসে। এ সময় শামশুলের সঙ্গে থাকা লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পিটিয়ে রক্তাক্ত
করে। পরে পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ গিয়ে শামশুলকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাহারছড়া
ইউনিয়নের উত্তর শীলখালী মাঝের পাড়ায় একোয়া শ্রিম্প হ্যাচারির (নারিশ কোম্পানি)
প্রায় ২০ একর জমি আছে। ২২ এপ্রিল অস্ত্র নিয়ে সেখানে থাকা নির্মাণশ্রমিকদের ওপর
চড়াও হন চাঁদাবাজরা। তারা ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কোম্পানির কর্মকর্তাকে
হুমকি দেন।
তারা কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর
করে এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা মেশিনসহ কিছু যন্ত্রপাতি
ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল ১২ জনের নাম উল্লেখ ও
অজ্ঞাত আরও আট থেকে ১০ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম
বলেন, চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানানোয় তারা শ্রমিকদের মারধর ও বিভিন্ন ধরনের
মালামাল লুট করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।