তবে শুক্রবার রাতে মুহিতের
ভাই পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল
মোমেন জানিয়েছিলেন, শনিবার বেলা
সাড়ে ১১টায় সংসদের
দক্ষিণ প্লাজায়
জানাজা হবে।
যে কারণে কিছু মানুষ
সংসদ চত্বরে গিয়েছিলেন। মনিপুরিপাড়া,
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আসাদগেইট
সংলগ্ন সংসদের তিনটি প্রবেশ
পথে তারা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার কারণে ঢুকতে
পারেননি।
সংসদের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা
গেছে, সংসদে জানাজা সম্পর্কে তাদের
কাছে কোনো নির্দেশনা ছিল না।
গুলশানের আজাদ মসজিদে শনিবার সকালে মুহিতের জানাজার আগে তার ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘‘ কোভিডের কারণে অ্যারেঞ্জমেন্ট ঠিক নাই। আমরা গতকাল (শুক্রবার) এই ভেন্যু (সংসদ) যখন ঠিক করেছিলাম, এই অ্যারেঞ্জমেন্ট দেখি নাই। দুই বছর ধরে সংসদে কোনো ইয়ে (জানাজা) হয় নাই।”
আজাদ মসজিদ থেকে
মুহিতের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা হয়।
সাধারণত বর্তমান ও সাবেক
কোনো সংসদ সদস্য মারা
গেলে সংসদ চত্বরে জানাজা
হওয়ার রেওয়াজ আছে। প্রয়াতের
পরিবার সংসদ সচিবালয়ে যোগাযোগ
করলে জানাজার আয়োজন করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
শুরু হওয়ার পর কয়েকজন
সংসদ সদস্য মারা গেলেও
গত দুই বছর কোনো
আয়োজন হয়নি।
জানাজা হওয়ার খবরে সংসদ ভবনে উপস্থিত হওয়া সিলেটের বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাবেক
এই অর্থমন্ত্রীকে আমি পছন্দ
করি। তার জানাজায়
অংশ নেওয়ার জন্য সংসদের
গেইটে এসেছিলাম।
“কিন্তু
পুলিশ আমাদের ভেতরে ঢুকতে
দেয়নি। বলেছে, জানাজা হবে না। আমরা নিউজে দেখেছি- এখানে জানাজা
হবে। তাহলে হবে,
এটা প্রচার করা হল কেন?”
গ্রিনরোড থেকে আসা নজরুল ইসলাম
বলেন, “সঠিক
তথ্য পেলে আমরা এখানে
আসতাম না। মিডিয়া
কেন প্রচার করলো- এখানে জানাজা
হবে?”
জানতে চাইলে সংসদের পরিচালক (গণসংযোগ) তারিক
মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “সংসদে
সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর জানাজা
হবে এটা সংসদ থেকে
জানানো হয়নি। আর এ ধরনের
আমাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। করোনার কারণে এখানে কোনো
জানাজা হয়নি।”
তবে এবার ঈদের নামাজের
জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদ
সচিবালয়। গত দুই বছর এ আয়োজন
ছিল না।