সাসেক্সের হয়ে এবার কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত
২০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন পুজারা। তৃতীয় ম্যাচ
ডারহামের বিপক্ষে শনিবার আউট হলেন ২০৩ রান করে। এই প্রথম ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান কাউন্টিতে
এক মৌসুমে দুটি দ্বিশতক করতে পারলেন।
ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কাউন্টিতে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন আর
কেবল একজনই- মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন। সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক দুইশ করেছিলেন দুটি, দুবারই
ডার্বিশায়ারের হয়ে। তবে তার দুই ডাবলের একটি ছিল ১৯৯১ সালে, আরেকটি ১৯৯৪ সালে। প্রথমটি
ছিল লেস্টারশায়ারের বিপক্ষে, পরেরটি পুজারার মতোই ডারহামের বিপক্ষে।
আরেক ভারতীয় ইফতিখার আলি খান পতৌদির অবশ্য কাউন্টিতে চারটি ডাবল সেঞ্চুরি
আছে। তবে তখনও তিনিছিলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার।
কাউন্টিতে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরিতে নিজের আরেকটি রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করে
নিলেন পুজারা। তার ১৫তম ডাবল সেঞ্চুরি এটি। এশিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড একার করে নিয়েছিলেন তিনি আগের ডাবল সেঞ্চুরিতেই। এবার তা বাড়িয়ে
নিলেন আরেকটু। ১৩টি ডাবল সেঞ্চুরি করে এশিয়ানদের মধ্যে দুইয়ে কুমার সাঙ্গাকারা।
দুই ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে আরেক ম্যাচে পুজারার ব্যাট থেকে আসে সেঞ্চুরি।
সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে এখনও পর্যন্ত রান ৬ ও ২০১*, ১০৯ ও ১২ এবং ২০৩। ভারতের টেস্ট দলে
ফেরার দাবি তিনি জানিয়ে রাখছেন প্রবলভাবেই।
দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পথে পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ষষ্ঠ
উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন পুজারা। রিজওয়ান আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এই ইনিংসে
করেন ৭৯ রান।
পাকিস্তানেরই আরেক ব্যাটসম্যান শান মাসুদ অল্পের জন্য করতে পারেনি একটি
বিশ্বরেকর্ড। কাউন্টিতে ডার্বিশায়ারের হয়ে প্রথম ম্যাচে তিনি করেন ৯১ ও ৬২, দ্বিতীয়
ম্যাচে ২৩৯, তৃতীয় ম্যাচে ২১৯। চলতি রাউন্ডে গ্ল্যামরগনের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৬০
রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শনিবার আউট হন ৪২ রানে। মাত্র ৩ রানের গড়তে পারেননি তিনি এপ্রিল
মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।
৭১৫ রান করে এপ্রিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নিক কম্পটনের। যে
রেকর্ড তিনি করেছিলেন ২০১২ সালে।