২০২০ সালের মার্চে দেশে প্রথম কোভিড শনাক্ত হয়েছিল, প্রথম মৃত্যু হয়েছিল
১৮ মার্চ। ওই মাসে এ ভাইরাসে মৃত্য হয়েছিল পাঁচজনের। এর পর থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত
দুই বছরে কোনো মাসেই মৃত্যুর সংখ্যা ৮৫ জনের কম ছিল না।
এর মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের সময় ২০২১ সালের জুলাই মাসে ৬১৮২
জনের মৃত্যু হয়, যা এক মাসের সর্বোচ্চ।
এ বছর এপ্রিল মাস জুড়ে দেশে ১ হাজার ১১৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। মহামারীর
মধ্যে এক মাসে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল কেবল ২০২০ সালের মার্চে। ৮ মার্চ প্রথম
রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সেই মাসে মোট ৫১ জনের কোভিড ধরা পড়েছিল।
আর ২০২১ সালের জুলাই মাসে শনাক্ত হয়েছিল ৩ লাখ
৩৬ হাজার ২২৬ জন কোভিড রোগী, যা পুরো মহামারীর মধ্যে এক মাসের সর্বোচ্চ।
এ বছর মার্চে সারা দেশে আট হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সে হিসাবে এপ্রিলে
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৬ হাজার ৮৮৬ জন বা ৮৬ শতাশ।
পুরো মার্চ মাস জুড়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এপ্রিল তার চেয়ে ৮০ জন বা ৯৪ শতাংশ কম মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো
কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়নি, ফলে মহামারীর মধ্যে টানা একাদশতম মৃত্যুহীন পার করল বাংলাদেশ।
গত এক দিনে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে দেশে।
মহামারীর ২৫ মাসে দেশে সব মিলিয়ে মোট ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭১৬ জন কোভিড রোগী
শনাক্ত হয়েছে। তাদের মদ্যে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৯ হাজার ১২৭ জনের।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার
২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর
তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে
মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৩৫ হাজারের
বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৩৪ লাখের বেশি।