টেলিগ্রাম এখন সরাসরি ‘টনকয়েন’ লেনদেন
করতে দেবে বলে টুইট করেছে ‘দ্য ওপেন নেটওয়ার্ক (টন)’। লেনদেন থেকে কোনো ফি কেটে রাখবে
না টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষ।
টেলিগ্রামে ক্রিপ্টো লেনদেন কীভাবে কাজ
করবে, সে ব্যাখ্যা দিয়ে টুইটের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে টন। প্রথমেই টেলিগ্রামের
ওয়ালেট বট যোগ করতে হবে অ্যাটাচমেন্ট মেনুতে।
এর মাধ্যমে ‘ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে ক্রিপ্টো
মুদ্রা কেনা যাবে, লেনদেনে করা যাবে এবং ভিন্ন ওয়ালেটে স্থানান্তর করা যাবে’ বলে উঠে
এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে।
লেনদেনের সময় টেলিগ্র্যাম চ্যাটিংয়ের অ্যাটাচমেন্ট
মেনু থেকেই ক্রিপ্টো ওয়ালেট খুলে লেনদেনের আকার এবং আনুসাঙ্গিক তথ্য দিয়ে ‘সেন্ড’ চেপেই
পাঠানো যাবে টনকয়েন। প্রাপকও টনকয়েন পাবেন তার চ্যাটিংয়ের মাধ্যমেই।
২০২০ সালে টেলিগ্রামের ক্রিপ্টো মুদ্রা
প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’।
প্রথম অবস্থায় প্রকল্পটির নাম ছিল ‘টেলিগ্রাম ওপেন নেটওয়ার্ক (টন)’। টেলিগ্রাম প্রধান
পাভেল দুরভ এবং তার সহোদর নিকোলাই মিলে ২০১৮ সালে ব্লকচেইন নেটওয়ার্কটি তৈরি করেছিলেন।
তার এক বছর পরেই ‘প্রি-ইনিশিয়াল কয়েন অফারিং
(আইসিও)’-এর অংশ হিসেবে সংগৃহিত একশ ৭০ কোটি ডলার রেজিস্টার করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে
টেলগ্রামকে টন ব্লকচেইন নির্ভর ‘গ্রাম’ টোকেনের বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এসইসি।
ভার্জ জানিয়েছে, সে সময়ে টেলিগ্রাম ‘টন’
প্রকল্প বাতিল করলেও ব্লকচেইন নেটওয়ার্কটিকে টিকিয়ে রেখেছিলেন এর নির্মাতারা। পরবর্তীতে
ব্লকচেইন নেটওয়ার্কটির নাম পাল্টে ‘দ্য ওপেন নেটওয়ার্ক’ হয়েছে, আর ‘গ্রাম’ টোকেন নাম
পাল্টে হয়েছে টনকয়েন।
এপ্রিলের শুরুতেই একশ কোটি ডলারের অনুদান
পেয়েছে ‘টন ফাউন্ডেশন’। ব্লকচেইন প্রকল্পটি নিয়ে এখনও আশাবাদী টেলিগ্রাম প্রধান পাভেল
দুরভ।
গত ডিসেম্বরেই দুরভ বলেছিলেন, “আমি গর্বিত
কারণ আমরা যে প্রযুক্তি বানিয়েছি তা এখনও টিক আছে এবং আরও উন্নত হচ্ছে। ব্লকচেইন জগতের
অন্যদের চেয়ে এখনও অনেক বছর এগিয়ে আছে টন।”