বাফুফে রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, জুনের ফিফা উইন্ডোতে হবে এই ম্যাচ দুটি। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ২৩ ও ২৬ জুন মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবেন সাবিনা-কৃষ্ণারা।
মেয়েদের জাতীয় দল সবশেষ খেলেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। উজবেকিস্তানে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারে গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
জর্ডানের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হারের পর ইরানের বিপক্ষেও একই ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
পরে সেখানেই হংকংয়ের অনুরোধে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে মেয়েরা। সাবিনার হ্যাটট্রিকে সেই ম্যাচ ৫-০ গোলে জিতেছিল দল।
এরপর বয়স ভিত্তিক দলের ব্যস্ততা থাকলেও মেয়েদের জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ ছিল না।
সব ঠিক থাকলে অগাষ্টে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ার কথা নেপালে। সেপ্টেম্বরে চীনে রয়েছে এশিয়ান গেমস।
এই আসর দুটির আগে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনার কথা আগে থেকেই বলে আসছিল বাফুফে। চূড়ন্ত ঘোষণা এলো এবার।
দুটি বড় টুর্নামেন্টের আগে প্রীতি ম্যাচ পাওয়ায় খুশি মেয়েদের কোচ ছোটন। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম তিনি বললেন, খুবই কাজে দেবে এই দুটি ম্যাচ।
“ফেডারেশন অনেক দিন ধারেই ফিফা উইন্ডোতে সিনিয়র দলের ম্যাচ আয়োজন করতে চাচ্ছিল। করোনার কারণে এতদিন সম্ভব হয়ে উঠেনি। এই ম্যাচ দুটি আমাদের জন্য খুবই কাজে লাগবে। ফিফা উইন্ডোর জন্যও কাজে লাগবে, সেই সঙ্গে সাফ ও এশিয়ান গেমসের জন্যও খুব ভালো প্রস্তুতি হবে।”
মেয়েদের ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫তম। মালয়েশিয়া এগিয়ে আছে অনেক, ৮৮তম স্থানে দলটি।
২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে তিন জাতির একটি টুর্নামেন্টে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল সাবিনারা।
তবে আসছে ম্যাচ দুটিতে সিলেটের দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার লক্ষ্যের কথা জানালেন বাংলাদেশের কোচ।
“চার-পাঁচ বছরে মেয়েরা বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে অনেক ম্যাচ খেলেছে, সাফল্য পেয়েছে। সব খেলোয়াড়ের বয়সও বেড়েছে। আমি মনে করি, তারা এখন অনেক পরিণত।”
“মালয়েশিয়া শক্তিশালী দল। র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে এবং ভালো ম্যাচ দেখবে সিলেটের দর্শক।”