টিভিতে এক ঘোষণায় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সময়ের এই প্রস্তাবটি এখন গিনির পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে।
গত বছর গিনিতে এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। শুরুর দিকে এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিল গিনির বহু নাগরিক।
তবে সামরিক সরকার সময়মতো বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় তা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ বাড়ছে।
বিবিসি জানায়, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াস ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য গিনির সামরিক সরকারকে গত সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছিল, অন্যথায় তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে।
সেই আল্টিমেটামের পরই গিনির জান্তা সরকার ক্ষমতা ছাড়ার এই ঘোষণা দিল। তবে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা মানতে ব্যর্থ হয়েছে জান্তা। এর জন্য আরও সময় চাওয়া হয়েছে। জান্তা সরকার বলেছিল, তারা ১৮ থেকে ৫২ মাসের একটি অন্তর্বর্তী সময়ের কথা ভাবছে।
অবশেষে শনিবার ৩৯ মাসের (তিন বছর তিন মাস) অন্তর্বর্তী সময় প্রস্তাব করেছে জান্তা সরকার। কর্নেল ডুম্বুইয়া প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, তিনিসহ অন্তর্বর্তী সরকারে অংশগ্রহণকারীদের কেউই আগামীতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
গিনিতে অভ্যুত্থানের পর ৮০ সদস্যবিশিষ্ট ন্যাশনাল ট্রানজিশন কাউন্সিল (সিএনটি) গড়ে তোলা হয়। এ কাউন্সিলই এখন দেশের পার্লামেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছে। দেশে পরবর্তী নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সিএনটি’র। তবে এখন পর্যন্ত তারা সেটি করেনি।