এই ময়দানে ছয় লাখ নামাজি ঈদ জামাতে অংশ নেবেন বলে
সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন।
ঈদের নামাজের প্রস্তুতি দেখতে সম্প্রতি জাতীয় সংসদের হুইপ
ইকবালুর রহিম ময়দান পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই ময়দানে ঈদের
নামাজ পড়া ঈদ উৎসবের অন্যতম অংশ। এশিয়ার সব থেকে বড় এই ঈদগাঁ মাঠে এবার ৬ লাখ
মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করবে।”
সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায় করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি
সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঈদগাহ সংশ্লিষ্টরা জানান, ২২ একরের এই ময়দানে ২০১৭ সাল
থেকে ঈদের নামাজ হচ্ছে। ৫২টি গম্বুজবিশিষ্ট ৫১৭ ফুট দৈর্ঘ্যের মিনারটির মূল
মেহেরাবের উচ্চতা ৫২ ফুট।
এই মাঠে নিয়মিত ঈদের নামাজ পড়েছেন রুবেল সিকদার।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশাল পরিসরে
মাঠে ঈদের নামাজ আদায় অন্যরকম এক আনন্দ, যা গত দুবছর আমরা পড়তে পারিনি। এবার সেই
অপক্ষা শেষ হবে।”
একই অভিমত ব্যক্ত করে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার
বলেন, “দুবছর ঈদগাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতে না পারার কষ্ট দূর হবে। লাখো
মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারাটা অন্যরকম আনন্দ।”
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, শান্তিপুর্ণ
পরিবেশে নামাজ অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিরপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট নিরাপত্তা বজায়ে কাজ শুরু করেছে।