রোববার দুপুরে চরবাটা ইউনিয়নের তোতার বাজারে এ সংঘর্ষ চলাকালে ইউপি সদস্যদের কার্যালয় ও ছয়টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। পুলিশ নয় জনকে আটক করেছে।
আহতদের মধ্যে ফখরুল ইসলাম (৩৪), ফজলুল মিয়া হাজী (৫৫), মধু বেপারী (৩৫), সিরাজুল ইসলাম (৩৮) ও হেলাল উদ্দিন রাজাকে (৫০) সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, হতদরিদ্রদের জন্য সরকারি চালের কার্ড বন্টন নিয়ে চরবাটা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব ও সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে কয়েকদিন থেকে উওেজনা বিরাজ করছিল।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার দুপুরে তোতার বাজার সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ভিজিএফ-এর ১০ কেজি করে চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় নিজ নিজ অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘কোটার’ কার্ড নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেনের সমর্থক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্য বাকবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওই সময় ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইব্রাহিম খলিলের কার্যালয় ও ছয়টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খলিলের অভিযোগ, চাল বিতরণের সময় মাপে কম দেওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হচ্ছে দেখে তিনি চাল বিতরণকারীদের কাছে মাপে কম দেওযার কারণ জানতে চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন তার কার্যালয় ভাংচুর করে এবং তাকেসহ আরও ৬/৭ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “দলীয় কোটার কার্ড না দেওয়া ও চাল বিতরণের সময় মাপে কম দেওয়ার কারণে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। তবে এর সঙ্গে আমি বা আমর লোকজন জড়িত নয়।”
বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেলের বাড়ির সামনে ইউপি কার্যালয় হওয়ার কারণে তার লোকজন সব সময় সাধারণ মানুষকে পরিষদে বাধা দেয়। এ কারণে ঘটনার সূত্রপাত।
তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, “প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপানোর উদ্দেশ্যে মোজাম্মেলের লোকজন মোটরসাইকেল ভাংচুর ও নিজেদের একটি কার্যালয় ভাংচুর করেছে।”
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।