গত শুক্রবার ভবনটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বেশ কয়েকজন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়ে আছেন। তাদের খোঁজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ভবনের মালিকসহ ভবনটি নির্মাণের জন্য দায়ী আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া, অন্য আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে ভবনটির নিরাপত্তা নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ এই ভবন ধসের কারণ নিশ্চিত করে জানায়নি। শনিবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে কোনও মূল্যে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া এবং ভবন ধসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উদ্ধারকাজে এ পর্যন্ত ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক ডজন মানুষ এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছে। তাদের কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন চাংশার মেয়র ঝেন জিয়াংশিন।
বিবিসি জানায়, ছয়তলা ওই ভবনটি মূলত আবাসিক। তবে সেখানে একটি সিনেমাহল এবং হোটেলও আছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে ভবনটিতে অতিরিক্ত কাঠামো নির্মাণের কারণে এটি ধসে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের এক কর্মকর্তা সিজিটিএন সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, ধ্বংসস্তুপ সরানোর জন্য ভারি যন্ত্রপাতি রাখার জায়গা সীমিত থাকার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ধসের ঘটনায় ভবনটি সংলগ্ন অন্যান্য ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে আছে।
চীনে আগেও ভবন ধসের এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। দুর্বল অবকাঠামো, নিরাপত্তা অব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে দুর্নীতির কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।