ক্যাটাগরি

চোখ ভালো রাখতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস

বয়স বাড়ার সঙ্গে যেমন দৃষ্টি শক্তি কমে
তেমনি বর্তমানে অতিরিক্ত সময় বৈদ্যুতিক পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে ভুগতে হয় চোখের
নানান সমস্যায়। এর মধ্যে একটি হল ‘ড্রাই আই’ বা চোখে শুষ্কতার সমস্যা।

চোখের যত্ন নিতে এবং যতটা সম্ভব দৃষ্টি
তীক্ষ্ণ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিকর খাবার
যোগ করা উচিত। সঠিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য সম্পূরক গ্রহণ
করাও উপকারী।

চোখ তীক্ষ্ণ রাখার জন্য সেরা পরিপূরক
সম্পর্কে ‘ইটদিস নটদ্যাট’কে নিউ জার্সির ‘দ্যা কনজিউমার ম্যাগ’য়ের পুষ্টিবিদ জেনেট
কোলম্যান এবং পুষ্টিবিদ জনা বার্ডিওস’য়ের পরামর্শ হল “চোখের জন্য সেরা পরিপূরকগুলোর
মধ্যে একটি হল ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডস।”

ওমেগা-থ্রিস যেভাবে উপকার করে

কোলম্যানের মতে, “ওমেগা-থ্রিস চোখের শুষ্কতার
সমস্যা দূর করে এবং ‘মলিকুলার ডিজেনারেইশন’ থেকে রক্ষা করার মাধ্যমে চোখের স্বাস্থ্যের
উপকার করে থাকে।”

চোখ আর্দ্র রাখার জন্য পর্যাপ্ত অশ্রু
তৈরি না হলে চোখের শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা সাধারণত বয়সের কারণে হয়ে থাকে
এবং তা অনেক বেশি অস্বস্তিকর।

বারডিওস বলেন, “স্ক্রিন সময় এবং বার্ধক্যের
কারণে চোখে শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। তবে ওমেগা-থ্রিস প্রদাহ কমাতে পারে এবং অশ্রুর
তৈলাক্ত স্তরকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা চোখকে খুব বেশি শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা
করতে সাহায্য করে।”

বড়ি বা ক্যাপ্সুল আকারে ওমেগা-থ্রিস’য়ের
সম্পূরক পাওয়া যায়। আর এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ক্যাপ্সুল গ্রহণ করতে হবে।

আবার খাবারের মাধ্যমেও প্রচুর পরিমাণে
এই ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করা যায়।

এ সম্পর্কে বারডিওস বলেন, “ম্যাকারেল,
অ্যাঙ্কোভিস, সার্ডিনস, স্যামন এবং হেরিংয়ের মতো চর্বিযুক্ত মাছ, সেই সঙ্গে তিসিরবীজ,
চিয়া বীজ এবং আখরোট সবই ওমেগা-থ্রি ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার।”

এগুলো খাবারে যোগ করা চোখের স্বাস্থ্য
ভালো রাখতে সহায়তা করে।

আরও পড়ুন

মাস্ক ব্যবহারে হতে পারে শুষ্ক চোখের সমস্যা
 

চোখের ফোলাভাব দূর করতে
 

চোখের শুষ্কতা দূর করতে