ক্যাটাগরি

টাঙ্গাইলে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবি

রোববার দুপুর ১২টার
দিকে উপজেলার নথখোলা সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

বাসাইল ফায়ার সার্ভিস
স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রিপন মিয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু
সেতু মহাসড়কে যানজটের শঙ্কায় নৌ-পথে গাজীপুর থেকে গার্মেন্টসকর্মীসহ শতাধিক যাত্রী
নিয়ে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয় চারটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা। এগুলোর মধ্যে তিনটি বাসাইলের
ঝিনাই নদীর নথখোলা সেতু অতিক্রম করে যায়।

“কিন্তু পেছনে থাকা
অপর নৌকাটি সেতু অতিক্রম করার সময় পানির নিচে থাকা একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেলে
তলা ফেটে যায়। এ সময় নৌকায় পানি ওঠা শুরু করে। তখন যাত্রীরা দ্রুত সাঁতরে পারে ওঠার
চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা গিয়ে শিশুসহ শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।”

রিপন মিয়া বলেন, ঘটনাটি
জানতে পেরে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। পরে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়।
নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন।

“কোনো হতাহতের ঘটনা
ঘটেনি। কেউ নদীতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে কিনা জানা নেই। তখন কেউ নিখোঁজের দাবি করেনি।”

ডুবে যাওয়া নৌকার যাত্রী
মনিরুজ্জামান বলেন, “আমরা গাজীপুর থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিলাম।
নৌকাটি ওই ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় পানির নিচে থাকা একটি পিলারের সঙ্গে ধাক্কা
লেগে নৌকার তলা ফেটে যায়।”

তিনি বলেন, এ সময় যাত্রীরা
তাড়াহুড়ো করে নৌকা থেকে নামার চেষ্টা করলে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে তারা সাঁতরে পারে ওঠে।

“এ ঘটনায় কেউ মারা
যায়নি। তবে নৌকাতে অনেকের মালামাল রয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এই নদীতেই ভেসে গেছে।”

বাসাইল উপজেলা পরিষদের
সাবেক চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম বলেন, নৌকাটিতে থাকা অনেকেই গার্মেন্টসকর্মী। তারা
অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও তাদের মালামাল নদীতেই ভেসে গেছে। আরও কেউ নদীতে নিখোঁজ রয়েছে
কিনা এটা পরে বোঝা যাবে।

বাসাইল থানার ওসি মোস্তাফিজুর
রহমান বলেন, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি শতাধিক যাত্রী নিয়ে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিল। নৌকাটি নথখোলা
ব্রিজ অতিক্রম করার সময় ডুবে যায়। এ সময় যাত্রীরা দ্রুত পারে উঠতে সক্ষম হন। নৌকা ডোবার
ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারা ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন।