তিনি
বলেছেন, “আশির দশকে স্লোগান হত শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের
মূল্যের সমান। অথচ এখন শ্রমিকের মজুরি ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান উন্নীত হয়েছে।
চট্টগ্রাম এলাকায় ৭০০-৮০০ টাকার নিচে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না, ঢাকায়ও তাই,
উত্তরবঙ্গে কিছুটা কম।
“একজন
রিকশাওয়ালা-ভ্যানচালক ভাই আগে যদি একদিন বাহন না চালাত, তার চুলাতে আগুন জ্বলত না।
এখন একজন রিকশাওয়ালা ভাই যদি মনে করেন আজকে বাহন চালাব, আগামীকাল চালাব না, সেটি
তার পক্ষে সম্ভব।”
আন্তর্জাতিক
শ্রমিক সংহতি দিবসে রোববার চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের
একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
শ্রমিকদের
কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, “২০০৯ সালে
আমরা সরকার গঠন করার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১ হাজার ৬৫০
টাকা। এখন সেটি ৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে।
“পাটকল
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল মাত্র ৯৬০ টাকা, এখন সেটি উন্নীত হয়েছে ৮ হাজার তিনশ
টাকায়। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এভাবে বিভিন্ন সেক্টরে
শ্রমিকদের মজুরি ৬ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
সামাজিক
নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষকে নানাভাবে সহায়তা দেওয়ার কথাও
বলেন তিনি।
তার
সঙ্গে বিএনপি আমলের তুলনা করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মির্জা
ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন শ্রমিকরা যখন অধিকারের দাবিতে আন্দোলন
করেছে, তখন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
“আদমজীর
শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করেছে, তখন কী করেছে, আপনারা জানেন। কৃষি শ্রমিকরা যখন সার ও
কৃষি উপকরণের জন্য আন্দোলন করেছে, তখন তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এটিই হচ্ছে
বঙ্গবন্ধুকন্যার সাথে অন্যদের পার্থক্য।”
করোনাভাইরাস
মহামারী ও ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সঙ্কট তৈরি হলেও বাংলাদেশে জীবনযাত্রা
নির্বিঘ্ন আছে বলে দাবি করেন তথ্যমন্ত্রী।
“ভোজ্য
তেলের দাম ইউরোপে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য পণ্যের দাম ইউরোপে ৪০
শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউকেতে খাদ্যপণ্যের দাম ২৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি
পেয়েছে। সেখানে সুপার মার্কেটে নানা ধরনের খাদ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের
দেশে সেটি হয়নি। অনেকে বক্তৃতা করেন, কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকান না। এত
সঙ্কটের মধ্যেও আমাদের দেশে জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন আছে।”
আওয়ামী
লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের
সহসভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের
সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার মন্ত্রীর
বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।