সেই ২০০৭ সালের জানুয়ারিদে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স থেকে রিয়ালে পা রেখেছিলেন মার্সেলো। দিনের সেই ১৮ বছর বয়সী টগবগে তরুণ বছরের পর বছর মাঠ দাপিয়ে এখন দাঁড়িয়ে ক্যারিয়ার সায়াহ্নে। এই গৌধূলি বেলায় পেলেন ক্লাবের হয়ে আরেকটি ট্রফি জয়ের স্বাদ এবং পা রাখলেন নতুন উচ্চতায়।
এবারের লা লিগা জিতে রিয়ালের হয়ে ২৪টি ট্রফি জেতা হয়ে গেল মার্সেলোর। ক্লাবের গৌরবময় ইতিহাসে তিনিই সফলতম। ছয়টি লা লিগা শিরোপা, চারটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপ, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, দুটি কোপা দেল রে ও পাঁচটি স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ের গৌরবে রাঙা তার রিয়াল ক্যারিয়ার।
বরাবরই ক্লাব অন্তপ্রাণ মার্সেলোকে বেশি ছুঁয়ে যাচ্ছে ক্লাবের লিগ জয়ই। আগেরবার (২০১৯-২০ মৌসুমে) লিগ শিরোপা জিতলেও সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপন করতে পারেননি তারা কোভিড মহামারীর কারণে। এবার ছিল না কোনো বাধা। হাজার হাজার সমর্থকের সঙ্গে নেচে-গেয়ে উদযাপন করেছে দল। এতেই বেশি খুশি মার্সেলো।
“আমরা সম্ভাব্য দ্রুত সময়ে শিরোপা জিতেছি এবং এটাই আমাদের কাজ। আমি খুব খুশি এবং আমাদের আরও ট্রফি জয় করতে হবে। দলের সবার পরিশ্রম, আনন্দ, ত্যাগ ও অনেক কিছুর ফল এটি। এই কারণেই আমরা এত দ্রুত জিততে পেরেছি।”
“সমর্থকদের সঙ্গে এটি উদযাপন করাটা সেরা অনুভূতি। আগে আমরা এটা করতে পারিনি কিন্তু আজ পারছি। এই উৎসব তাদের জন্য।”
গত মার্চে ঘরের মাঠে ক্লাসিকোতে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল হয়েছিল রিয়াল। ওই হারের পর কিছুটা সংশয়ে পড়ে গিয়েছিল তাদের পরের পথচলা। তবে সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত সহজেই শিরোপা জয় করে নিয়েছে মাদ্রিদের দলটি।
দলের লড়াকু মানসিকতায় মুগ্ধ মৌসুমজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করা গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
“এত ম্যাচ হাতে রেখে লিগ জয় করা অবিশ্বাস্য। আমরা এই বছর দারুণ নিবেদন দেখিয়েছি এবং আমরা খুব খুশি। বড় ম্যাচগুলোতে আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিকতা ছিল। তবে সবার আগে বলতে হবে ক্লাসিকোতে (৪-০) হারের পর কঠিন ম্যাচগুলোতে আমরা যেভাবে লড়েছি।”
“আমরা সেল্তা ভিগো ও সেভিয়াকে তাদের মাঠে এবং গেতাফেকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হারিয়েছি… সবকিছুর জন্য ভক্তদের অনেক ধন্যবাদ। আজকের আবহটা চমৎকার ছিল। আমরা সত্যিই এটি উদযাপন করতে চেয়েছিলাম, কারণ দুই বছর আগে মহামারীর কারণে আমরা ভক্তদের সঙ্গে এটি উদযাপন করতে পারিনি।”