তবে ফাঁসির আসামিরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছেন না।
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই দেশের কারাগারগুলোয় বন্দিদের বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। তার সঙ্গে এবার ঈদুল ফিতরে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও যোগ হচ্ছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিদের জন্য ফুটবল খেলার আয়োজনের কথা জানিয়েছেন জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়াও জানান, এবার তারা বন্দিদের ফুটবল দিয়েছেন। আশা করছেন, বন্দিরা দিনভর ফুটবলেই মেতে থাকবে।
কুমিল্লা কারাগারে ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে ঈদের তিন দিনই। জেল সুপার আরিফুর রহমান জানান, ওয়ার্ডভিত্তিক ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। ওয়ার্ড চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারও পাবে।
টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে বন্দি ৭৩৫ কিশোরের জন্য কিছু ইনডোর গেমস রেখেছে এখানকার কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান বলেন, কিশোরদের খেলাধুলার জন্য কিছু ফুটবলও কিনে দেওয়া হয়েছে।
>> দেশে বর্তমানে কারগার ৬৮টি >> বন্দি ৮০ হাজার ৭১৮ জন >> পুরুষ ৭৭ হাজার ৫২৬ জন, নারী ৩১৯২ জন >> ফাঁসির আসামিদের মধ্যে পুরুষ ২০৭৯ জন, নারী ৫৭ জন |
অন্যান্য আয়োজন
ঢাকার জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, ঈদের দিন বন্দিদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সকালে পায়েস সেমাই মুড়ির পর দুপুরে পোলাওয়ের সঙ্গে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসির মাংসের তরকারি আর মিষ্টান্ন দেওয়া হবে। আর রাতে থাকছে সাদা ভাত মাছ, ডাল আর মিষ্টান্ন।
কাশিমপুর কারাগারে বিশেষ খাবার ছাড়াও বন্দিদের জন্য গানবাজনার সুযোগ রাখার কথা বলেন জেল সুপার নুরুন্নবী ভূঁইয়া।
গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে ৯৯৭ জন বন্দি আছেন। ঈদের দিন এই কারাগারে বিশেষ খাবারের বাইরে আর তেমন কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান জেলসুপার।
ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) জাহাঙ্গীর কবীর জানান, তার বিভাগের চারটি কারাগারে ৩ হাজারের বেশি বন্দি আছেন। সেখানেও বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছাড়া আর তেমন কিছু আয়োজন নেই।
টঙ্গী কিশোর সংশোধন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মো. এহিয়াতুজ্জামান জানান, তার কেন্দ্রেও ঈদের দিনে বিশেষ খাবার পাবে বন্দি কিশোররা।
এর আগে ঈদের দিন পরিবারের সদস্য বা স্বজনরা বাড়ি থেকে বন্দিদের জন্য খাবার আনতে পারলেও কোভিড মহামারী শুরুর পর থেকেই তা বন্ধ। এবার সংক্রমণ কমে এলেও সেই নিয়ম বহাল রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
তবে বন্দিরা কারাগারের ভেতরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খেতে পারবেন।

স্বজন সাক্ষাৎ
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদ উপলক্ষে সব বন্দি তার স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন। আগেই সাক্ষাতের জন্য ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হলেও এবারে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ মিনিট।
তবে ঈদের একদিন বা দুদিন আগে যেসব বন্দিদের সঙ্গে তাদের স্বজনরা দেখা করে গেছেন, তারা সেই সুযোগ পাবেন না।
বিভিন্ন জেল সুপাররা জানান, সময় স্বল্পতায় ঈদের দিন যারা স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন না, তাদেরকে ঈদের পরিদন সুযোগ দেওয়া হবে।
ফাঁসির আসামির সুযোগ
কারা অধিদপ্তরের এআইজি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মানবিক বিবেচনায় ঈদের দিন ফাঁসির আসামিরা ‘কনডেম সেল’ থেকে বের হয়ে বাইরে খানিকটা সময় হাঁটাহাঁটির সুযোগ পাবেন।
সাধারণ বন্দিদের মতো তারাও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।