ক্যাটাগরি

আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ

এরমধ্যে মুন্সীগঞ্জ, দিনাজপুর, জামালপুর, সাতক্ষীরা, মৌলভিবাজর, ভোলা, ঝিনাইদহ ও শেরপুরের বিভিন্ন এলাকা রয়েছে।

এসব এলাকার লোকজন সৌদি আরবের সঙ্গে একই দিন রোজা শুরু করেন; একই দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন।

সেই হিসাবে আমাদের দেশে যেদিন রোজা শুরু কিংবা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হয় তার একদিন আগে তারা উৎসবগুলো পালন করেন।

বাংলাদেশে মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

দিনাজপুর

দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর ও কাহারোল উপজেলার কয়েকটি এলাকায় সোমবার ঈদ উদযাপন করছে প্রায় ২ হাজার পরিবার।

সকাল ৯টায় দিনাজপুর শহরের বাসুনিয়াপট্টিতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ঈদের জামাতে ঈমামতি করেন মোখলেসুর রহমান। এতে শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন।

মোখলেসুর বলেন, “চন্দ্র সূর্য্য একটাই। পৃথিবীর যে কোন স্থানে ঈদের চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ নামাজ আদায় করতে হবে। আমরা সৌদির সঙ্গেই মিল রেখে রোজা শুরু করি এবং ঈদ উদযাপন করি।”

তিনি জানান, তাদের অন্যান্য অনুসারীরা জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাইতাড়া, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ ও গড়েয়া এলাকায় সোমবার ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ সোমবার ঈদ পালন করছেন।

বিগত বছরগুলোর মত শিলই গ্রামে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন হাজী ডা. মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “পৃথিবীর যে কোন স্থানে নব চন্দ্র দেখা দিলে সেই অনুযায়ী ঈদ পালন করা উচিত। তাই আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছি।”

জামালপুর

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার মুলবাড়ি, বলারদিয়ার, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, বাউসী, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, পাটাবুগা ও দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামের দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

সকাল ৮ টায় দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামে মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদ ঈদগাঁ মাঠে ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে আজিম উদ্দিন ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আজিম বলেন, দেড় যুগ ধরে তারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদরের ভাড়ুখালী, আখড়াখোলা,তলুইগাছা, বাউকোলা তালার ইসলামকাটি, খলিলনগর, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ও এলাকার মুসল্লিরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন।

বাউখোলা ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মহব্বত আলী। শতাধিক মুসুল্লি নামাজ শেষে তারা একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এছাড়া সেখানে ঈদের খাবারও বিতরণ করা হয়।

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার সার্কিট হাউস এলাকায় সোমবার সকাল ৭টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী। ঈদ জামাতে নারী-পুরুষসহ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাওফিক বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউস এলাকায় তার বাসার ছাদে, না হয় বাসার উঠানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে শতাধিক মুসল্লি  ঈদের নামাজ  আদায় করেন।

নামাজ শেষে তিনি সকল মুসল্লিকে ঈদের সেমাই ও মিষ্টি খাওয়ান।

ভোলা

ভোলার পাঁচটি উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার ঈদ উদযাপন করছেন।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ারনিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে গ্রামের চৌকিদার বাড়ির জামে মসজিদে সকাল ৯টায় এবং পঞ্চায়েত বাড়িরজা মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

শেরপুর

শেরপুরের তিন উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে।

সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর ও গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতীর বনগাঁও চতলে সোমবার ঈদ উদযাপিত হয়েছে।

সকালে এসব জায়গায় ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসুল্লিরা।

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গ্রামগুলোতে ঈদ উদযাপন হয়ে আসছে।

এদিকে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়ার কিছু মানুষ আফগানিস্তানের সঙ্গে মিল রেখে রোববারই ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন।