রোববার ভোর রাত ৩টার দিকে লাগা এ আগুন ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনে বলে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন জানান।
আগুনে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা বেলাল বলেন, হকার্স মার্কেটের ৫ নম্বর গলির যে কোনো একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ঘিঞ্জি পরিবেশ ও পানির সংকটে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয় তাদের।
পরে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে গাড়ি দিয়ে সরবরাহ করা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও আগুন নেভাতে প্রাণান্তর চেষ্টা করেন।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা লালদীঘির পাড় হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কবির হোসেনের। তিনি বলেন, “মার্কেটে এক হাজার ৩৫ টি দোকান রয়েছে; এর মধ্যে শতাধিক দোকান আগুনে পুড়েছে।”
মার্কেটের ছয় নম্বর গলির ব্যবসায়ী জয়নাল আহমদ বলেন, “আগুনে সব পুড়ে গেছে। লাখ লাখ টাকা ব্যাংক লোন কিভাবে পরিশোধ করবো বুঝে উঠতে পারছিনা। সবার সহযোগিতা চাই।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি রসখানে সাংবাদিকদের বলেন, “মার্কেটে অগ্নি নির্বাপণের নিজস্ব কোন ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।”
বৈদুৎতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানালেও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধারণা দিতে পারেনি।