সোমবার ভোর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায়
নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল জানান।
কামরুলের (৭৯) মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল
হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের
প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
মিঠামইন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান
কামরুল আহসান শাহজাহান জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী হিসেবেও
দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্ত্রী, ছয় ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও অনুসারী রেখে গেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের
বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কামরুল আহসান অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তাকে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি
ঘটলে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। পথেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগ নেতার প্রথম জানাজা বাদ জোহর
জেলা শহরের শহীদী মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মসজিদের খতিব মাওলানা শাব্বির আহমেদ রশিদ জানাজা
পরিচালনা করেন।
জানাজার পর কামরুল আহসান শাহজাহানের মরদেহ
অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়ি মিঠামইন উপজেলার মৈশারকান্দি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে
দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
