সোমবার ভোরে ধরলা সেতুর উত্তর প্রান্ত
থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান।
নিহত জিয়ারুল হক মণ্ডল (৩২) ভূরুঙ্গামারী
উপজেলার আন্ধারীরঝাড় ইউনিয়নের ধাউরারকুটি গ্রামের মৃত বাহাদুর মণ্ডলের ছেলে। তিনি সবজি
ব্যবসা করতেন।
নিহতের স্ত্রী হালিমা আক্তার সাংবাদিকদের
বলেন, জিয়ারুল কিছুদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনের মতো আচরণ করছিলেন। এ কারণে তাকে কবিরাজী
চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। রোববার সকাল ১১টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর তার খোঁজ
পাওয়া যায়নি।
জিয়ারুলের ছোট ভাই সুরুজ মণ্ডল বলেন,
“বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গায় ভাইয়ের খোঁজ করা হয়। পরে জানতে পারি, সন্ধ্যায়
তিনি নাগেশ্বরী বাজারে ইফতার করেছেন। এরপর থেকে সেখানে আর তাকে কেউ দেখেনি।“
জিয়ারুলের খোঁজ চেয়ে নাগেশ্বরী ও
ভূরুঙ্গামারী এলাকায় রাত ৯টায় মাইকিং করা হয়। পরে সোমবার ভোরে পরিবার মরদেহের কথা জানতে
পারে।
ধরলা সেতুর পুলিশের চৌকির দেড়শ গজ
দূরে পরে ছিল লাশটি। এর পাশেই কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের কাজ চলছে। পরিবারের সদস্যরা
এসে জিয়ারুলের পরিচয় শনাক্ত করে।
সুরুজ মণ্ডল বলেন, “ধারণা করছি, তাকে
পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘুষির ফলে দুটি চোখই নষ্ট হয়ে গেছে।”
ওসি শাহরিয়ার বলেন, মরদেহের সুরতহাল
করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন
পেলে মৃত্যুর কারণে জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।