ক্যাটাগরি

কৈলাশটিলা থেকে আসছে দিনে আরও ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১০ মের মধ্যে কৈলাশটিলার ৭ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক এক কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট থেকে এক কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

বর্তমানে এই গ্যাসক্ষেত্রের সচল দুটি কূপ থেকে দৈনিক দুই কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস আসছে।

“কৈলাশটিলা-৭ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার করে লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনে লগিং, পারফোরেশন ও টেস্টিং করে দৈনিক কমপক্ষে এক কোটি ৭০ থেকে এক কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দৈনিক ১৮৭ ব্যারেল কনডেনসেটও উপাদন করা সম্ভব হচ্ছে,” জানায় সিলেট গ্যাসফিল্ড।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, কৈলাশটিলা ফিল্ডের লোয়ার গ্যাস স্যান্ড জোনের অবশিষ্ট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মজুদ ৭৫৮ বিলিয়ন ঘনফুট। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট এ গ্যাস বিভিন্ন কূপের মাধ্যমে উৎপাদন করা হবে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, “গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। হরাইজন্টাল ও ভার্টিকাল উভয়ভাবেই অনুসন্ধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ ড্রিলিং করতে পারলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে।”

১৯৬১ সালে কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড যাত্রা শুরু করেছিল। পরবর্তী দশকগুলোতে সেখানে একে একে ৭টি কূপ উৎপাদন লাইনে যুক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে চলমান দু’টি কূপ থেকে দৈনিক দুই কোটি ৯০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

২০০৯ সালে ষষ্ঠ এবং তার কিছুদিন পর সপ্তম কূপটি উৎপাদনে যুক্ত হয়। ২০১৬ সালে সপ্তম কূপটিতে উৎপাদন স্থগিত করা হয়।

দেশে এখন দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন ২৯৮৫ এমএমসিএফডি বা ২৯০০ কোটি ৮৫ লাখ ঘনফুট। এর মধ্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি থেকে আসছে ৭৬১ এমএমসিএফডি বা ৭৬ কোটি ঘনফুট।

গ্যাসের প্রকৃত চাহিদা সরবরাহের তুলনায় কিছুটা বেশি হওয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্যাস সঙ্কটের খবর প্রায়ই আসছে।