‘এমভি ওরিয়েন্ট চ্যালেঞ্জ’ নামের জাহাজটি অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর সেখান থেকে খালাস প্রক্রিয়াও চলছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিযেছেন।
সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটি গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ২ কোটি ২৯ লাখ লিটার অপরিশোধিত সয়াবিন নিয়ে আসে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা তেল রয়েছে।
সিটি গ্রুপ, সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল ও বসুন্ধরা গ্রুপ এ সয়াবিন তেল আমদানি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক সয়াবিন তেল নিয়ে জাহাজ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, খালাসের প্রক্রিয়াও ‘প্রায় শেষ পর্যায়ে’।
বিদেশ থেকে আনা এসব সয়াবিন তেল প্রথমে পতেঙ্গা ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হয়। এরপর সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি তাদের কারখানায় নিয়ে গিয়ে সেখানে পরিশোধন করে বাজারজাত করে থাকে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের পর সারাবিশ্বের মতো সয়াবিনের বাজারে অস্থিরতা শুরু হলে দেশের তেলের বাজারে এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে তেলের ওপর বিভিন্ন শুল্ক প্রত্যাহার করে এবং দাম নির্ধারণ করে দেয়।
অস্থিরতার মধ্যেই খোলা বাজারে বোতলজাত সয়াবিনের সঙ্কট দেখা গিয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক গ্রুপ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় খোলাবাজারের দোকানিরা সয়াবিন তেল নিতে পারছেন না। আবার দোকানিরাও তাদের সংগ্রহে যা আছে, তা ইচ্ছেমতো দামে বিক্রি করছেন।
কোথাও মিলছে না সয়াবিন তেল, হঠাৎ ‘উধাও’
সয়াবিন তেল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, “বিশ্ববাজারে দাম বাড়তি, তাই আমদানি করা সয়াবিনের দামও বেশি দরে বাজারে বিক্রি করতে হবে। ঈদের পরে সরকার নতুন দাম ঠিক করে দিলে সে অনুযায়ী দাম ঠিক করা হবে।”
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “বাজারে সয়াবিনের সাপ্লাই চেইন ঠিক আছে। আমদানিও হচ্ছে, তবে তা বেশি দামে। দাম নিয়ে সরকারের বাইরে যাবার সুযোগ আমাদের নেই। ঈদের পরে সরকার যেভাবে বলবে আমরা সেভাবে দাম ঠিক করব।”
এদিকে ইন্দোনেশিয়া তাদের দেশ থেকে পাম তেল রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বাংলাদেশেও পাম তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভোজ্যতেলে ‘অনিয়ম’: ৪ গ্রুপের বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় ভোক্তা অধিদপ্তর