কোভিড মহামারীর মধ্যে দুই বছর বাদে ঈদের জামাত ফিরছে জাতীয় ঈদগাহে; মঙ্গলবার সকাল ৮টয় সেখানে হবে দেশে ঈদের প্রধান জামাত। এবার মাঠে ৩৫ হাজার মানুষের জামাতের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দুই বছর পর এবার ঈদ জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহকে প্রস্তুত করতে মাসব্যাপী কাজ চলে। গত ৫ এপ্রিল থেকে এই মাঠে প্রতিদিন ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করছে।
সর্বশেষ প্রস্তুতির খবর জানাতে গিয়ে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থার কথা জানান।
তিনি বলেন, “গরমে মুসল্লিরা যাতে কষ্ট না পান, সে জন্য ৫৫০টি সিলিং ফ্যান ও ১৫০টি স্ট্যান্ড ফ্যান বসানো হয়েছে।”
এবার বৈশাখের শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরমে হা্ঁসফাঁস করতে হচ্ছে দেশবাসীকে। তবে ঈদের সময় কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।
সোমবার ভোররাতে এমন ঝড় বয়ে গেলেও ঈদগাহের অস্থায়ী অবকাঠামোর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানান ওসি মওদুত।
বৃষ্টির কথা ভেবে টানান হয়েছে তেরপল, মাঠজুড়ে বিছানো হয়েছে গালিচা। অজুর ব্যবস্থাসহ মোবাইল টয়লেট থাকছে।
ওসি মওদুত বলেন, বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সেবামূলক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৩০ হাজার বর্গমিটারের এই মাঠে ১২১ কাতারে নামাজ পড়বেন মুসল্লিরা। নারীদের জন্যেও নামাজ ব্যবস্থা রয়েছে।
পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। মাঠের চারিদিকে ৪৮টি সিসি ক্যামেরা বসেছে। প্রবেশ পথে পুলিশ ও র্যাবের দুটি কন্ট্রোলরুমও বসানো হয়েছে।
মিটফোর্ড হাসপাতালের কর্মচারী মো. জয়নাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তিনি গত ২০ বছর ধরে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়ছেন, কিন্তু গত দুই বছর সেটি পড়া সম্ভব হয়নি।
“আশা করি আগামীকাল এই মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারব- ঝড়বৃষ্টি ঝামেলা করবে না।”