নেটফ্লিক্সের গ্রাহক হারানোর মধ্যে বিবিসি সোমবার এই খবর দিয়েছে।
‘পার্ল’ তাদের বাদ দেওয়া বড় প্রকল্পের একটি। গত বছরের শেষ ভাগে এই সিরিজ নির্মাণের খবর দিয়েছিল নেটফ্লিক্স।
গত মাসে বড় একটি সংখ্যার গ্রাহক হারিয়েছে নেটফ্লিক্স এবং আরও লাখো গ্রাহক এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পদবি ছাড়ার মাস ছয়েকের মধ্যেই বিনোদন জগতে আসার উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত হন হ্যারি ও মেগান
বিবিসি লিখেছে, এই কোম্পানিটির বাজার দর হারানোর পরিমাণ প্রায় ২০ মিলিয়ন ডলার; এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে নেটফ্লিক্সকে আপন ধারায় ফিরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।
ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারি ও পুত্রবধূ হলিউড তারকা মেগান ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে যুক্ত হওয়ার খবর ২০২০ সালে দেওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছিল। কেউ অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, কেউ আবার নেটফ্লিক্স ছেড়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন।
রাজকীয় জীবন ছেড়ে উত্তর আমেরিকায় পাড়ি জমানো ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্সের ‘আর্চওয়েল প্রেডাকশন’ গত বছর ঘোষণা করেছিল যে মেগান ‘পার্ল’ সিরিজের নির্বাহী প্রযোজক হবেন।
১২ বছর বয়সী এক কিশোরী, যাকে অনুপ্রাণিত করেছে ইতিহাসের বিখ্যাত ও প্রভাবশালী কয়েক নারী, সেই কিশোরীর জীবনের রোমাঞ্চময় ঘটনা ঘিরে পার্লের গল্প তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল।
এখন পার্ল বাতিলে আর্চওয়েল প্রেডাকশন থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানতে পারেনি বিবিসি।
পার্ল বাতিল হলেও নেটফ্লিক্স জানিয়েছে যে তারা আর্চওয়েল প্রডাকশনকে একেবারে ছেড়ে যাচ্ছে না। ‘হার্ট অব ইনভিকাস’ নামে একটি প্রামাণ্য সিরিজসহ আর্চওয়েলের সঙ্গে আরও কিছু কাজ কাজ চালিয়ে যাবে নেটফ্লিক্স।
‘হার্ট অব ইনভিকাস’ সিরিজটি প্রিন্স হ্যারির পরিকল্পিত, যা আহত প্রবীণ খোলোয়ারদের নিয়ে নির্মিত।
নেটফ্লিক্স আরও জানিয়েছে, তারা শিশুদের জন্য ‘ডাইনো ডেকেয়ার’ এবং ‘বুনস অ্যান্ড কার্সেস’ নামের আরও দুটি অ্যানিমেটেড সিরিজ নিয়েও আপাতত এগোচ্ছে না।
এপ্রিলে নেটফ্লিক্স জানায়, বছরের প্রথম তিন মাসে তারা দুই লাখ গ্রাহক হারিয়েছে। গ্রাহক সংখ্যার এই বিরাট পতনে স্ট্রিমিং কোম্পানিটি তাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়েও পড়েছে।
আশঙ্কা তরা হচ্ছে জুলাই থেকে আগামী তিন মাসে আরও ২০ লাখ গ্রাহক নেটফ্লিক্স ছেড়ে দিতে পারে।
কিছু বিশ্লেষক আগেই সতর্ক করেছিলেন, কোভিড মহামারীর সময় নতুন গ্রাহক যুক্ত হওয়াতে ব্যবসার বাড়ানোর সহজ পদ্ধতিটি হারিয়ে গেছে। এছাড়া টাকা সাশ্রয়ে অনেক গ্রাহকই স্ট্রিমিং কোম্পানিগুলোর সেবা কমিয়ে দিচ্ছেন।
প্রিন্স চালর্স ও প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে হ্যারি ও অভিনয়শিল্পী মেগান মার্কলের পরিচয় ২০১৬ সালে, দীর্ঘ প্রণয়ের পর ২০১৮ সালের মে মাসে উইন্সরের সেইন্ট জর্জ চ্যাপলে এক জাঁকজকমপূর্ণ আয়োজনে বিয়ে করেন তারা।
২০২০ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পদবি ছাড়ার মাস ছয়েকের মধ্যেই বিনোদন জগতে আসার উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত হন এই দম্পতি।
রাজপরিবার থেকে বিদায় নিয়ে নিয়ে বর্তমানে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন। দু বছর পর এপ্রিলে নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত ‘ইনভিকাস গেমস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে জনসম্মুখে একসঙ্গে দেখা যায় হ্যারি ও মেগানকে।
পুরনো খবর: