যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের ড্রোনবিষয়ক আইন
তুলনামূলক সহজ হওয়ায় প্রথমে এই দুটি দেশেই ‘পিক্সি’ ড্রোনের বাজারজাতকরণ শুরু করেছে
স্ন্যাপ।
উড়ন্ত অবস্থায় ভিডিও ধারণের সক্ষমতা আছে
স্বচালিত পিক্সির। ভিডিও আর ফটো ফাইল সরাসরি জমা হবে অ্যাপে। আর ছবি-ভিডিও তোলা শেষে
আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহারকারীর হাতের তালুতে ফিরে আসবে ড্রোনটি।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হার্ডওয়্যার এবং
অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকেছে সামাজিক মাধ্যমগুলো। স্ন্যাপ নিজস্ব
অ্যাপের ফটো ফিল্টারের জন্য এআর প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে শুরু থেকেই। পিক্সি
প্রতিষ্ঠানটির হার্ডওয়্যারনির্ভর দ্বিতীয় পণ্য।
টুইটার বা ফেইসবুকের মতো নিয়মিত খবরের
শিরোনামে স্ন্যাপ বা স্ন্যাপচ্যাটের নাম আসে না। তবে পর্দার আড়ালে নিজের জনপ্রিয়তা
ধরে রেখেছে অ্যাপটি।
বিশ্বব্যাপী ৩০ কোটি নিয়মিত ব্যবহারকারী
আছে বলে দাবি করে স্ন্যাপ। ২০টি দেশের ১৩ থেকে ৩৪ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ
স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
ফোনের ‘এআর লেন্স’ নির্মাণের জন্য আলাদা
পরিচিতি আছে স্ন্যাপচ্যাটের। সেলফির ওপর ছবি আঁকা থেকে শুরু করে নানা ভাবে ছবি পরিবর্তনের
সুযোগ দেয় এআর ফিল্টারগুলো।
এর আগে ২০১৬ সালে ‘স্পেকটাকলস’ নামের ক্যামেরাবাহী
চশমা উন্মুক্ত করেছিল স্ন্যাপ। তবে বাজারে তেমন একটা সাড়া যায় পণ্যটি। ‘স্পেকটাকলস’-এর
পেছনে ২০১৭ সালে প্রায় চার কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের।
তবে, শিল্প খাতে এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারে
ড্রোনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় ‘পিক্সি’ নিয়ে স্ন্যাপ আশাবাদী বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তবে, পিক্সি কিনতে আগ্রহীদের স্থানীয় আইন
ও নীতিমালা সম্পর্কে অবগত থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্ন্যাপ। পিক্সির মতো পণ্যগুলো কে,
কখন ও কীভাবে ব্যবহার করতে পারবেন তার পুরোটাই স্থানীয় ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালার ওপর নির্ভরশীল
বলে সতর্ক করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।