ক্যাটাগরি

ঘুমন্ত স্বামীর জননাঙ্গ কেটে থানায় স্ত্রী

সোমবার মধ্যরাতে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া দক্ষিণ খণ্ডের চেয়ারম্যানবাড়ি
মোড় এলাকায় আমান উল্ল্যাহ আমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার
ইমাম হোসেন জানান।

ভুক্তভোগী মো. শরীফ (৩১) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের
আলাউদ্দিনের ছেলে। তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি
করা হয়েছে।

যার বিরুদ্ধে অভিযোগে শরীফের দ্বিতীয় স্ত্রী সেই হনুফা বেগমও (৩০) একই
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি শ্রীপুর উপজেলার গাজিয়ারন গ্রামের বাসিন্দা।

আট-নয় মাস আগে শরীফের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তারপরই
হনুফাকে বিয়ে করেন তিনি।

মঙ্গলবার শ্রীপুর থানার এসআই মো. মিজান সাংবাদিকদের বলেন, রাতে তিনি
এলাকায় টহলে ছিলেন। থানা থেকে ডিউটি অফিসার মোবাইল ফোনে জানান, স্বামীর জননাঙ্গ কেটে
এক নারী থানায় এসে হাজির হয়েছেন এবং স্বামীকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে আসার কথা বলছেন।

তখন পুলিশ গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে শরীফকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নেয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে গাজীপুরে স্থানান্তর করেন।

এ সময় হনুফা বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
চিকিৎসা দেওয়া হয়। ব্যথা না কমায় তাকেও গাজীপুরে স্থানান্তর করা হয়। দুজনেই শহীদ তাজউদ্দীন
আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

শরীফের বাবা আলাউদ্দিন বলেন, তিন বছর সংসার করার পর প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে
শরীফের বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গে শরীফের কোনো যোগাযোগ ছিল না। তাকে বাড়িতে
ঢুকতে দেওয়া হত না। শরীফ যে আরেকটা বিয়ে করেছে সেটাও পরিবার জানে না। সকালে খবর শুনে
তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন।

বাড়ির মালিক আমান উল্ল্যাহ আমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন বলেন, গত ১ মে
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে টিনশেড ঘর ভাড়া নেন শরীফ। তাদের বলা হয়েছিল, শরিফ জয়দেবপুরে চাকরি
করেন আর তার স্ত্রী ঘরে সেলাইয়ের কাজ করেন।

“সোমবার রাত ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে পুলিশ গিয়ে
আমাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে। পরে শরীফের এই ঘটনা জানায়। পুলিশ শরীফকে হাসপাতালে নিয়ে
যায়।”