মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে বন্দরনগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়; সঙ্গে ছিল দমকা হাওয়া।
বৃষ্টিতে বৈশাখের টানা তাপপ্রবাহে ভ্যাপসা গরম কেটে স্বস্তি এলেও ঈদের ঘোরাঘুরিটা জমে
ওঠেনি।
ঈদে মিষ্টি মুখের পর দুপুরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন
তাদের অপেক্ষা করতে হয় আরও কিছুটা সময়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত শেষ
১২ ঘণ্টায় নগরীতে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সকাল থেকেই নগরীতে যানবাহন চলাচল ছিল অন্য দিনের তুলনায় কম। দুপুরে বৃষ্টি
শুরুর পর সড়কে গাড়ি নেই বললেই চলে। রিকশাও ছিল হাতেগোনা।
ঈদের দিন মঙ্গলবার বেলা ১টা থেকে বন্দরনগরীতে বৃষ্টি শুরু হয়। সড়কে কমে যায় যানবাহনও। ছবি: সুমন বাবু।
নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঈদের দিন দুপুর থেকে শিশু-কিশোরদের আনাগোনা
থাকে। তবে বৃষ্টির কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোও ফাঁকা দেখা গেছে।
বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। এরপর আকাশ ছিল মেঘলা।
নগরীর খুলশী এলাকার বাসিন্দা ওয়ারলেস ঝাউতলা কলোনি স্কুলের দশম শ্রেণির
শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এতদিন করোনার কারণে ঈদে
কোথাও ঘুরতে পারিনি।
“এবার ভেবেছিলাম বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি যাব। তাদের সাথে ঘুরতে যাব। এখন বৃষ্টির
জন্য আটকে গেলাম। দুপুরে ঘরেই খেয়েছি। দেখি যদি বিকালে বৃষ্টি না হয়। বের হওয়ার চেষ্টা
করব।”
নগরীর মত আশেপাশের সীতাকুণ্ড, রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও
বৃষ্টি হয়েছে।
হাটহাজারীর মাদার্শা এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে ঈদের জামাতের
পর দুপুরে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে আর হয়নি। বাড়িতেই আছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ
এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান
করছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম
ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো
হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও
কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২
ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।