গত কয়েকদিন ধরে উত্তর মহারাষ্ট্র, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া এবং বিধর্ভে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে থাকছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় পত্রিকাগুলো জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে সব থেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে বিদর্ভ থেকে। অসহ্য গরমে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নাগপুর। সেখানে মারা গেছে ১১জন।
মারাঠাওয়াড়ায় মৃতের সংখ্যা ৬। উত্তর মহারাষ্ট্রের জালগাঁওতে মৃত্যু হয়েছে চারজন এবং আকোলায় তিন জন। অমরাবতীতে একজন। রাজ্যের প্রায় ৪০০ মানুষের সানস্ট্রোক হয়েছে। সানস্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে নাগপুরে।
এর আগে ২০১৬ সালে তীব্র দাবদাহে মহারাষ্ট্রে ১৯ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর থেকে এবারই মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেল।
সাধারণত মে-জুনে ভারতে দাবদাহ নিয়মিত ঘটনা হলেও চলতি বছর মার্চেই উচ্চ তাপমাত্রাসহ গ্রীষ্ম শুরু হয়ে যায়। এবার মার্চের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ওই মাস থেকেই দাবদাহ দেখা দিতে শুরু করে।
আইএমডির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নরেশ কুমার চলতি দাবদাহের জন্য স্থানীয় বায়ুমণ্ডলীয় কারণকে দায়ী করেছেন।
এর মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উৎপত্তি হওয়া ঝড়ের কারণে বর্ষাকাল শুরুর আগে ভারতের উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড়বিরোধী উচ্চ বায়ুমণ্ডলীয় চাপীয় এলাকায় বাতাসের ঘনীভূত হওয়া- এর কারণে মার্চে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে দেখা দেওয়া উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া।
মহারাষ্ট্র ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমনিতেই মে মাসে এপ্রিলের তুলনায় গরম বেশি পড়ে। পরিস্থিতিও সেদিকেই যাচ্ছে। গোটা ভারত জুড়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। কিছু প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ জারি করে মানুষকে তা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।