ক্যাটাগরি

ভারতের যোধপুরে ঈদের দিন দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ

পুলিশ জানিয়েছে, ঈদের আগের দিন সোমবার রাতে যোধপুর শহরের জালোরি গেট এলাকায় পতাকা টাঙানো নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত্র হওয়ার পর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এর জেরে মঙ্গলবার ঈদের দিনও সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষগুলো।

এদিন যোধপুরের পাঁচটি এলাকা থেকে পাথর ছোড়াছুড়ি ও সহিংসতার খবর আসে, পরে পুলিশ এসে শক্তি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকাগুলোতে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

লোকজন যেন গুজব ছড়াতে না পারে তার জন্য যোধপুরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। ঈদের জামাত পুলিশ প্রহরায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যোধপুরে তিন দিনব্যাপী পরশুরাম জয়ন্তী উৎসবও পালিত হচ্ছে। দুই সম্প্রদায়ের দুই উৎসবের পতাকা টাঙানো নিয়ে সোমবার শুরু হওয়া বিরোধ শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে গড়ায়। রাতে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় উত্তেজিত একদল জনতা পুলিশের স্থানীয় একটি পোস্টে হামলা চালায়।

মঙ্গলবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে অন্তত চার পুলিশ আহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে পুলিশের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, “ছুড়ে মারা পাথরের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

যোধপুরের বাসিন্দা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত শান্তি বজায় রাখার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক ডেকেছেন।

সম্প্রতি ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য এতে আরও ইন্ধন যুগিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে দিল্লি, গুজরাট, মধ্য প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গে রাম নবমী, হনুমান জয়ন্তী ও রোজাকে কেন্দ্র করে অনেকগুলো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ক্রমবর্ধমান এসব দাঙ্গা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা ও এসব সহিংসতা দমনে সরকারি উদ্যোগগুলোর সমালোচনা করেছে দেশটির বিরোধীদল, নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকার আন্দোলনকারীরা।