মঙ্গলবার
রাত ১০টা থেকে এসব এলাকায় পাইপলাইনের গ্যাস মিলবে না; আর তখন রাজধানীর কিছু অংশে গ্যাসের
স্বল্পতা থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস।
এসময়
লাইনে চাপ কম থাকা রাজধানীর এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে গাবতলী, মাজার রোড, কল্যাণপুর,
শ্যামলী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডি।
ঈদের রাত থেকে রাজশাহী বিভাগে ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ
ঈদের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টা ঢাকার একাংশ পড়বে গ্যাস সঙ্কটে
তবে
বিকল্প ব্যবস্থায় ঢাকা নগরীর গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করার
কথা জানিয়েছে তিতাস ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল)।
মঙ্গলবার
রাতে জিটিসিএলের ডিরেক্টর অপারেশন তাজুল ইসলাম মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, গ্যাসের মূল সঙ্কটটা ঢাকা শহরের বাইরে আমিন বাজার, সাভার, হেমায়েতপুর এলাকায়
হতে পারে। শ্যামপুর স্টেশন থেকে গ্যাসের প্রবাহ বাড়িয়ে মিরপুর-মোহাম্মদপুর-ধানমণ্ডি
এলাকার চাহিদা পূরণের চেষ্টা করবে তিতাস।
“আমরা
৪৮ ঘণ্টার একটা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করছি অন্তত নির্ধারিত সীমা
থেকে চার ঘণ্টা আগেও যেন কাজটা শেষ করতে পারি। গ্রাহকের কথা চিন্তা করে যত আগে কাজ
সম্পন্ন করা যায় ততই ভালো।”
তিনি
আরও জানান, মূলত জিটিসিএলের ধনুয়া থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত যে ট্রান্সমিশন লাইন; সেখানেই
মেরামত কাজটি শুরু হবে রাতে। এই লাইনের করদা ও পানশাইল নামক দুটি পুরোনো বাল্ব প্রতিস্থাপন
করা হবে।
তিতাসের
জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মির্জা মাহবুব হোসেন জানান, জিটিসিএলের সংস্কার কাজ চলার সময়
তিতাসের প্রকৌশলীরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধের আওতায় পড়াদের বড় একটি
অংশ হচ্ছে সাভার ও আশুলিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যিক গ্রাহক। তাদের কথা বিবেচনা করে খুব দ্রুত
কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অপরদিকে
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) সঞ্চালন লাইনে মেরামতের কাজ করবে টাঙ্গাইলের
এলেঙ্গা-যমুনা (বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্ত) এলাকায়।
সেখানে
পাইপ লাইনের হুক-আপ কাজ ঈদুল ফিতরের দিন রাত ১০টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে সম্পন্ন করা হবে বলে আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে ছিল কোম্পানিটি।
“এ কার্যক্রম চলাকালে পিজিসিএলের
আওতাধীন রাজশাহী বিভাগের সব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকবে।”