মঙ্গলবার টাঙ্গাইল,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মেহেরপুরে এই তিন ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে তিনজন মারা
যান নদীতে স্নানের সময়, একজন প্রাণ হারান বাবার কবর জিয়ারতে গিয়ে এবং একজন মারা যান
ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে।
টাঙ্গাইল
কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বজ্রপাতে দুই স্কুল ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন; আহত
হয়েছেন আরও দুইজন।
এরা হলেন হাতিয়া গ্রামের রবিউলের ছেলে আরিফ (১৪), দশাকিয়া ভাড়ারিপাড়ার
জুলহাস মিয়ার ছেলে ফয়সাল (১৩) ও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার মো. মোস্তফা (২৮)।
ছবি-মেহেরপুর প্রতিনিধি
এলাকাবাসীর বরাতে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান,
সকালে পাচঁজন ঈদের নামাজের আগে ধলেশ্বরী নদীতে গোসল করতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে
ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। অপর দুইজন আহত হন।
আহত শফিকুল ইসলামের ছেলে জাহিদ ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাকিবকে স্থানীয়
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
আখাউড়ায় বাবার কবর জিয়ারত করার সময় বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সকাল ৯টার দিকে উপজেলা
সদরের দুর্গাপুরে এ ঘটনায় মারা যান স্থানীয় মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রনি মিয়া (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, রনি
ঈদের নামাজ আদায় শেষে বাবার কবর জিয়ারত করতে
স্থানীয় একটি কবরস্থানে যান। কবর জিয়ারত করার সময় বজ্রপাত হলে তিনি গুরুতর আহত হন।
সেখান থেকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত
ঘোষণা করেন।
আখাউড়া উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শ্যামল রায় বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রনির মৃত্যু
হয়েছে।
মেহেরপুর
প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির
মধ্যে ঈদের নামাজে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে মেহেরপুর সদরের মনোহরপুর গ্রামের এক ব্যক্তি
নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন একজন।
নিহত হয়েছেন মনোহরপুর
গ্রামের আকরাম আলী। আহত হয়েছেন একই এলাকার সাইফুল ইসলাম।
কুতুবপুর ইউনিয়নের
গ্রাম পুলিশ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ভোর থেকে নিববিছিন্ন বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। নামাজ পড়তে
ঈদগাহে যাওয়ার সময় বজ্রপাতে আকরাম আলী নিহত হন এবং সাইফুল ইসলাম আহত হন।
সাইফুল ইসলামকে কুষ্টিয়া
সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে সদর থানার ওসি শাহ দারা জানিয়েছেন।