এই ব্যাপারটি নিয়ে
আলোচনা, বিতর্ক অনেক দিন ধরেই। আইপিএলে
সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচের প্রেক্ষাপটে আবার
উচ্চকিত হয় প্রসঙ্গ।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে
স্টেডিয়ামে কলকাতার রান তাড়ার ১৯তম ওভারে প্রসিধ কৃষ্ণার তিনটি বলে ওয়াইড ডাকেন
আম্পায়ার। এর একটিতে ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিং নিশ্চিতভাবেই শাফল করেন বোলার বল
ছাড়ার আগেই। তার পরও ওয়াইড ডাকেন আম্পায়ার। রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন তখন
রিভিউ নেন।
ওয়াইডের জন্য রিভিউ
নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। স্যামসনের সেই রিভিউয়ে তাই পরীক্ষা করে দেখা হয়
ব্যাটসম্যান কট বিহাইন্ড ছিলেন কিনা। যদিও ব্যাট থেকে বল অনেক দূরে ছিল, তা খালি চোখেই ধরা পড়েছে। রিভিউ নিয়ে তাই স্যামসন
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছিলেন বা ব্যঙ্গ করছিলেন কিনা, এই নিয়ে চলছে আলোচনা।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনে
বিশেষজ্ঞ আলোচনায় ভেটোরি বললেন, মাঠে অনেক সময় ক্রিকেটাররাই এসব ব্যাপার সবচেয়ে ভালো বোঝেন।
“আমার মনে হয় না, স্যামসনের ওই রিভিউ নেওয়ায় আউটের কোনো ভাবনা ছিল। অবশ্যই (ওয়াইডের
ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের রিভিউ নিতে দেওয়া উচিত)…এই ধরনের
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোয় ক্রিকেটারদেরই সিদ্ধান্তের ভার নিতে দেওয়া উচিত।”
“আজকে যদিও ওয়াইড এতটা
গুরুত্বপূর্ণ হয়নি, কলকাতা এমনিতেই জিতে যাচ্ছিল। কিন্তু
আমরা অনেকবারই দেখেছি, এই ধরনের সিদ্ধান্ত বোলারের বিপক্ষে
যায় এবং আম্পায়ার ভুল করেন। এজন্যই সেই ভুল ধরিয়ে দেওয়ার কোনো পথ ক্রিকেটারদের
সামনে থাকা উচিত। ডিআরএস তো এজন্যই চালু করা হয়েছে, ভুল
শোধরানোর জন্য। আমি এটা দেখতে চাই। ক্রিকেটাররাই এটা ভালোভাবে বিচার করতে পারবে,
কারণ তারা বেশিরভাগ সময়ই ঠিকটা বুঝতে পারে।”
দক্ষিণ আফ্রিকান
স্পিনার ইমরান তাহিরও এখানে একমত হন ভেটোরির সঙ্গে।
“অবশ্যই (ক্রিকেটারদের ভূমিকা
থাকা উচিত), কেন নয়? খেলাটায় বোলারদের
জন্য তেমন কিছুই নেই। ব্যাটসম্যানরা যখন মাঠের চারপাশে উড়িয়ে মারছে, তখন ওয়াইড ইয়র্কার বা ওয়াইড লেগ ব্রেক করা ছাড়া উপায় থাকে না। তখন এটিকে
ওয়াইড দেওয়া হলে বিপাকেই পড়তে হয়।”