এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত দেশব্যাপী গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়া আইনি সিদ্ধান্ত ‘রো বনাম ওয়েড’ উল্টে দেওয়ার পক্ষে রয়েছে।
১৯৭৩ সালের ওই রায় সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক রাজ্যেই গর্ভপাত নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা জুনের শেষে কিংবা জুলাইয়ের প্রথম দিকেই এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করতে পারেন।
সিএনএন জানায়, আইনি সিদ্ধান্তটি বাতিল হতে পারে এমন খবরে সোমবার রাতেই দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোড়োন সৃষ্টি হয়।
গর্ভপাতের অধিকারের এই আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল হলে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশকের রক্ষণশীল আন্দোলন বড় ধরনের জয় পাবে।
এরই মধ্যে ঘটনাটি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। নেতৃস্থানীয় উদার ব্যক্তিত্ব, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট নানা পক্ষ এবং ডেমোক্র্যাটিক নেতাদেরকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট ভবনের বাইরে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভও শুরু হয়েছে।
পলিটিকো জানিয়েছে, তাদের হাতে আসা সেই গোপন নথির খসড়া লিখেছেন রক্ষণশীল বিচারপতি স্যামুয়েল আলিটো। আদালতের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতির মতামত এই খসড়ায় প্রতিফলিত হয়েছে। এতে ১৯৭৩ সালের রো বনাম ওয়েড এর সমালোচনা করে বলা হয়েছে, গর্ভপাতের অধিকারকে নিশ্চিত করে দেওয়া এই রায় ভুলভাবে নেওয়া সিদ্ধান্ত।
ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এই খসড়া বিচারপতিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। জুন কিংবা জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রায় প্রকাশের আগে ভোট এবং ভাষায় পরিবর্তন আনা হতে পারে।
সিএনএন নিরপেক্ষ সূত্রে ফাঁস হওয়া খসড়ার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যও করতে রাজি হননি। তবে সামনের দিনগুলোতে হাইকোর্ট এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে এটি মার্কিনিদের জীবন এবং আইনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাবে।
সোমবার রাতে খসড়া নথি প্রকাশ হওয়ার পর ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও শোরগোল পড়ে গেছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে আদালত ভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে গর্ভপাত-পন্থি এবং গর্ভপাত বিরোধীরাও।
নেতৃস্থানীয় ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতিবিদ ন্যান্সি পেলোসি এবং চাক শুমার যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “খবরটি নির্ভুল হলে ৫০ বছরের মধ্যে এই প্রথম অধিকারের ওপর সুপ্রিম কোর্টের সবচেয়ে বড় খড়গ নেমে আসতে চলেছে।”