সোমবার বার্লিনে দুই নেতার মধ্যে
এক বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে শলৎস জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই ও গণতন্ত্রগুলো মধ্যে
সহযোগিতার মতো দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্যগুলো তুলে ধরেন, কিন্তু ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে
তাদের পরস্পরের অবস্থানে অনেক দূরত্ব ছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে
শলৎসের মন্তব্যগুলোর সঙ্গে মোদীর বক্তব্যের অনেক ফারাক ছিল। মোদী যুদ্ধবিরতির আহ্বান
জানালেও ক্রেমলিনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করতে পশ্চিমা দেশগুলোর জানানো আহ্বান এড়িয়ে
যান।
যুদ্ধে ইউক্রেইনকে সহায়তা করতে
প্রথমবারের মতো ভারী অস্ত্র পাঠাতে সম্মত হওয়ার এক সপ্তাহ পর এদিন শলৎস আরও একবার প্রতিবেশী
দেশটি থেকে রাশিয়ার সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের
প্রতি আহ্বান জানান।
আর রাশিয়া থেকে অধিকাংশ সামরিক
সরঞ্জাম কেনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, সমস্যার সমাধানে পৌঁছানোর একমাত্র পথ
সংলাপ বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্বাস,
এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না, প্রত্যেকেই হারবে। আমরা শান্তির পক্ষে।”
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী
হওয়ার পর থেকে নিজ দেশে এককভাবে কোনো সংবাদ সম্মেলন না করা মোদী আগে থেকে প্রস্তুত
করা বিবৃতি পড়ার পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি।
ইউরোপে এ সফরে জার্মানি থেকে
ডেনমার্ক ও ফ্রান্স যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
সম্প্রতি চীনকে কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বী
হিসেবে স্বীকার করে নিয়ে দেশটির ওপর নিজেদের বাণিজ্যিক নির্ভরতা কমিয়ে আনার উদ্যোগ
নিয়েছে জার্মানি। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে এশিয়ার গণতান্ত্রিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক
জোরদার করার দিকে ঝুঁকেছে বার্লিন।
বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারতের
সঙ্গে জার্মানির বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২১ সাল চীনের চেয়ে ১০ শতাংশ কম ছিল।
জুনে জার্মানিতে বিশ্বের অগ্রসর
অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম জি৭ এর সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে ভারতকে অতিথি
দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে সোমবার জার্মানির সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: