ক্যাটাগরি

দেশের মানুষের মনে ঈদের আনন্দ নেই: ফখরুল

ঈদের
দিন মঙ্গলবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর দেশের
বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে এই দাবি করেন তিনি।

ফখরুল
সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদে
আমরা সবসময় এই প্রত্যাশা করি যে, দেশের সকল মানুষের মধ্যে আনন্দ আসবে এবং আনন্দের
সঙ্গে তারা ঈদুল ফিতর পালন করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার, যেভাবে দ্রব্যমূল্য
বৃদ্ধি পেয়েছে, যেভাবে দেশে অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে এবং একই সঙ্গে
সাধারণ মানুষ কর্মচ্যুত হচ্ছেন, সেখানে আনন্দের সঙ্গে ঈদুল ফিতর পালন করা সম্ভব
হচ্ছে না। মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই।”

দলের
নেতা-কর্মীদের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার
দিনে আমরা দলের প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের
মাজারে আসি জিয়ারত করতে। এবার অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা এসেছি যে, দলের
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান তারেক রহমান তিনি মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিদেশে নির্বাসিত
অবস্থায় আছেন।

“আমাদের
প্রায় ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে আসামি করা হয়েছে, ৬শর
বেশি নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এরকম
একটা চরম ফ্যাসিবাদী শাসনে আজকে গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করা হয়েছে
এবং মানুষের যে মৌলিক অধিকারগুলো আছে তা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।”

হাজী সেলিমের বিদেশ যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন

দণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ
সেলিমের বিদেশ যাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে ‘রাজনৈতিক’ কারণেই সরকার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে দিচ্ছে না।

তিনি
বলেন, “এই
ঘটনা (হাজী সেলিমের চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রা) থেকে প্রমাণিত হয় যে, দেশনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা
মামলায় সাজা দিয়ে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।”

তিনি
বলেন, “আপনারা
দেখেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট যেটা কিছুদিন আগে বেরিয়েছে
সেখানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলাকে সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক মামলা এবং সাজা
দেওয়াটাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য দেওয়া হয়েছিল, তা উল্লেখ করা হয়েছে।

“গণতন্ত্রের
জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করেছেন, তাদের
বিরুদ্ধে তারা (সরকার) এই ধরনের দমনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিশেষ করে দেশনেত্রী
বেগম খালেদা জিয়া যিনি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক,
গণতন্ত্রের মাতা, তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়।”

সকাল
সাড়ে ১১টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ
হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান শেরে বাংলা নগরে
জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এসে তার কবরে ফুল দেন এবং দোয়া করেন।


সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন জয়নুল আবদিন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুবউদ্দিন খোকন,
হাবিব উ্ন নবী খান সোহেল, মীর সরফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আমিনুল হক,
রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশীদ হাবিব, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া
জু্য়েল, শাহ নেছারুল হক, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহীম, আবুল কালাম আজাদ।