ইতালির ‘কোরিয়ারে ডেলা সেরা’ পত্রিকায় মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে পোপ পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অনুরোধ করার কথা জানান। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও সাড়া মেলেনি।
সাক্ষাৎকারে পোপ বলেন, রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান ধর্মযাজক ইউক্রেইন যুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন; তিনি পুতিনের অনুসারী হতে পারেন না।
ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চে সেখানকার রুশ দূতাবাস সফর করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। ইতালীয় পত্রিকার সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যুদ্ধের প্রায় তিনমাসের মাথায় এসে তিনি ভ্যাটিকানের শীর্ষ কূটনীতিককে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে বলেছেন।
সেই বার্তাতেই পুতিনের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করে পোপ লিখেছেন, “আমি মস্কো যেতে ইচ্ছুক। ক্রেমলিন নেতার (পুতিন) এর অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা এখনেও কোনও সাড়া পাইনি, তাই বিষয়টি নিয়ে এখনও চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
“আমার মনে হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন এই সময়ে আলোচনায় বসতে পারবেন না কিংবা বসতে চাইছেন না। কিন্তু এত বর্বরতা আপনি কীভাবে বন্ধ না করে থাকতে পারেন? ২৫ বছর আগে রুয়ান্ডায় আমরা একই ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি।”
এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৪ সালের আফ্রিকার ওই দেশে গণহত্যার সঙ্গে ইউক্রেইনে রাশিয়ার হত্যাযজ্ঞের তুলনাই যেন টেনে আনতে চেয়েছেন পোপ।
ইতালির পত্রিকায় এই সাক্ষাৎকারের আগে পোপ ফ্রান্সিস সেই ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে একবারও সুনির্দিষ্টভাবে রাশিয়া কিংবা পুতিনের নাম জনসম্মুখে নেননি।
তবে তিনি কোন পক্ষের সমালোচনা করে এসেছেন সেটি তার বক্তব্য থেকে অনেকটা স্পষ্টই বোঝা গেছে; বিশেষ করে তার অন্যায় আগ্রাসন, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নৃশংসতা- এই শব্দগুলো ব্যবহারের কারণে।
ইউক্রেইন সফরে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে পোপ গতমাসে বলেছিলেন, সে সম্ভাবনা আছে। তবে এখন নয়।
তিনি বলেন, “প্রথমে আমাকে মস্কো যেতে হবে। প্রথমে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে হবে…আমি যা করতে পারি তা করব। কেবল পুতিন যদি দ্বার খুলে দেন।”