মঙ্গলবার ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে নামাজের
আগে বক্তব্যে এই আহ্বান জানান জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ
রুহুল আমিন।
দেশের প্রধান ঈদ জামাতের ইমাম রুহুল আমিন বলেন, “এ দেশ
শান্তি সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করে।
“শান্তি-সম্প্রীতি নষ্ট হয়, আমরা এমন উস্কানিমূলক
বক্তব্য পরিহার করব। এধরনের বক্তব্য দেব না।”
করোনাভাইরাস মহামারীর দুঃসহ স্মৃতি
পেরিয়ে এবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর এসেছে চেনারূপে, আনন্দের উপলক্ষ
হয়ে।
মহামারীতে রঙ হারানো এই উৎসবে গত দুই
বছর জাতীয় ঈদগাহে জামাত হয়নি। মসজিদে ঈদ জামাত হলেও বিধি-নিষেধের বেড়াজালে কোলাকুলির
মতো চেনা দৃশ্যও স্বাস্থ্যবিধির তোড়ে গিয়েছিল হারিয়ে।
মহামারী পরিস্থিতির উন্নতিতে এবার
স্বরূপে ফেরা ঈদের সকালে আকাশে মেঘের সাজ থাকলেও সকাল পৌনে ৯টায় নামাজ শেষের সময়ও তা
বৃষ্টি হয়ে ঝরেনি। ফলে মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়নি।
বিশ্বজুড়ে ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবের
মধ্যে ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে বাংলাদেশের কল্যাণ কামনা করেন মাওলানা রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, “অনেক রক্তের বিনিময়ে এদেশ পেয়েছি আমরা, আল্লাহ। এদেশকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র
থেকে হেফাজত করুন। পৃথিবী থেকে যুদ্ধ যাতে চলে যায়। সকল বালা-মুসিবত থেকে আমাদের রক্ষা
করুন।
দুই বছর পর অনুষ্ঠিত এই ঈদ জামাতে
বিপুল সংখ্যক মুসলমান অংশ নেন। ৩৫ হাজার মানুষ ধারণ ক্ষমতার মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার
পর কদম ফোয়ারার চারিদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম পাশের সড়ক, শিক্ষা ভবনের
পশ্চিম পাশের সড়কে দাঁড়িয়েও অনেকে নামাজ পড়েন।
শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ
এই জামাতে অংশ নেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন একজন সরকারি কর্মচারী
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খুবই মানসিক অস্বস্তিতে ছিলাম গত দুই বছর এখানে নামাজ
পড়তে না পেরে।”
গত ২০ বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ
পড়ে আসছেন জাহাঙ্গীর।
বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে আসা আট বছর
বসয়ী আদনান আহমেদ বলল, “খুব ভালো লাগছে।”