বুধবার
দুপুর ১২টা পর্যন্ত আড়াইশ যাত্রী চেকপোস্ট পার হয়েছেন। ইমিগ্রেশন ভবন ও বাইরে
অপেক্ষমাণ ছিলেন আরও দুই শতাধিক যাত্রী।
ঈদের
দিন মঙ্গলবার এই স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ভারত গেছেন বলে কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছে। সাধারণত প্রতিদিন এখান দিয়ে ২০০ যাত্রী ভারতে যান।
আখাউড়া
আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সহকারী ইনচার্জ মোরশেদুল হক বলেন, “আমরা আমাদের
সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর
চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিল।
“ফলে
এমনিতেই এখন যাত্রীদের চাপ বেশি। তবে ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিকের চেয়ে যাত্রী পারাপার
আরও বেড়েছে।”
যাত্রীদের
সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যশোরের বেনাপোল বন্দরের ভিড় এড়াতে অনেকেই আখাউড়া চেকপোস্ট
ব্যবহার করছেন। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে
তাদের। আর যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন
কর্মকর্তাদের।
ভারতগামী
সাইদুর রহমান (৩৫) জানান, তিনি সীমান্ত পার হয়ে কলকাতার বিমানে উঠবেন। সেখান থেকে
দিল্লি ও কাশ্মির বেড়াতে যাবেন। এদিক দিয়ে বিমান পথ থাকায় এটা সুবিধা। অভ্যন্তরীণ
ফ্লাইট বলে ভাড়াটাও সহনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
“দীর্ঘদিন
পর পর্যটক ভিসা চালু করেছে ভারত। ফলে ভিসা পেয়ে ঈদের ছুটিতে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি।”
তবে
আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলেও অভিযোগ
করেন কয়েকজন যাত্রী। তারা দুর্ভোগ নিরসনে কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
অপরদিকে
ভারত থেকে ফিরেছেন বাংলাদেশি যাত্রী হানিফ সরকার। তার অভিযোগ, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড
চেকপোস্টের ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশিদের হয়রানি করা হচ্ছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে
ইমিগ্রেশন করার কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
তিনি
বলেন, “সকাল ৭টায় লাইনে দাঁড়িয়েছি আর সাড়ে ১১টায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। সাড়ে
চার ঘণ্টা লাগল। ”