বগুড়ার
সারিয়াকান্দী উপজেলার যমুনা নদীর কালিতলা তীর সংরক্ষণ গ্রোয়েন, ধুনটের শহড়াবাড়ি ও
বানিয়াজান স্পারে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। বন্ধু, পরিজন নিয়ে কেউ নদীর
কিনারে হাঁটছে, কেউ নৌকায় ঘুরছে যমুনা নদীতে।

এসব এলাকায়
পসরা সাজিয়ে দোকানিদের বসতে দেখা গেছে। সব বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে যমুনার পার
ফিরেছে যেন সেই পুরনো রূপে।
তাছাড়া
বগুড়ায় মহাস্থানগড়ের বাইরে আর কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় এই জায়গাটিতে বিনোদন
কেন্দ্র গড়ে উঠেছে বলে বিনোদনপ্রেমীদের ভাষ্য।
সরেজমিনে ঘুরতে
গিয়ে ওখানে দেখা হয় পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়া শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের
ব্যবস্থাপক সুফলের সঙ্গে।
বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শহরে বিনোদনের তেমন ব্যবস্থা নেই। যমুনার তীরে হাঁটাহাঁটির
পর বাচ্চাদের নিয়ে নদীতে ঘুরলাম।”
শহড়াবাড়ি
স্পারে কথা হল শেরপুর উপজেলা থেকে ঘুরতে যাওয়া জিমের সঙ্গে। তিনি ৫০ কিলোমিটার দূর
থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে আসেন।
তিনি জানান,
তিনি ঢাকায় থাকেন। ঈদে শেরপুরে এসেছেন। নানার বাড়ি হয়ে স্ত্রী, বাবা-মা, মামা-মামিদের
নিয়ে তিনি যমুনার পাড়ে এসেছেন।

এই স্পারেই
আইসক্রিম ও ঠাণ্ডা পানীয় বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, মহামারীর কারণে দুবছর মানুষের
সমাগম কম ছিল। এ বছর মানুষের ভাল সমাগম হওয়ায় প্রতিদিন ছয় হাজার টাকা লাভ করবেন আশা
প্রকাশ করছেন।
নদীতে ঘুরতে
যাওয়াদের নদী ঘুরিয়ে দেখান খোকন মিয়া।
তিনি বলেন, দিনে
আট থেকে দশ হাজার টাকা উপার্জন করার ইচ্ছে। জনপ্রতি ২০ টাকায় ২০ মিনিট তিনি নদী
ঘুরিয়ে দেখান। দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঈদের দিনসহ টানা তিনদিন এই কাজ চালিয়ে
যাবেন।