ঈদের দ্বিতীয় দিন বুধবার সরেজমিনে
বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।
রংপুর চিড়িয়াখানা বিনোদন উদ্যান,
রংপুর শিশুপার্ক, তাজহাট জমিদার বাড়ি ও জাদুঘর, সিটি চিকলি বিনোদন পার্ক, প্রয়াস সেনাপার্ক,
চিকলি ওয়াটার পার্ক ও রূপকথা থিম পার্কে টিকিটের জন্য দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন দেখা
গেছে।
তাছাড়া রংপুর নগরীর কালেক্টরেট সুরভি
উদ্যান, টাউন হল চত্বর, কাউনিয়ার শতবর্ষী তিস্তা রেলওয়ে সেতু, গঙ্গাচড়া মহিপুর শেখ
হাসিনা তিস্তা সড়ক সেতু পয়েন্ট, রংপুর জিলা স্কুল মাঠ, বৈশাখী বটতলা, ক্যান্টনমেন্ট
পাবলিক কলেজ সংলগ্ন ফ্লাইওভার, আরএএমসি চত্বরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়।
এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটে পড়তেও হয়েছে
বিনোদনপ্রেমীদের।
এসব বিনোদনকেন্দ্রের কয়েকটিতে বিনামূল্যে
প্রবেশের সুযোগ থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে প্রবেশমূল্য দিয়ে ঢুকতে হয়েছে।
কেন্দ্রগুলোতে সব বয়সের মানুষের উপস্থিতি
থাকলেও শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষণীয়। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে অভিভাবকরাও
যুক্ত হয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি
কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন।
রংপুর চিড়িয়াখানায় দেখা হয় পরিবার
নিয়ে ঘুরতে আসা নগরীর বাহার কাচনা সিগারেট কোম্পানি মোড়ের বাসিন্দা কাকলি আকতারের সঙ্গে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি। ভালোই লাগছে। টিকিট নেওয়া থেকে
শুরু করে সবখানেই ভিড়। শিশুপার্কেও একই অবস্থা। এত বেশি মানুষ, কোথাও স্বস্তিতে চলাফেরা
করা যাচ্ছে না। তারপরও শিশুরা আনন্দ করছে।”
ধাপ সিমুল বাগ এলাকার কোহিনুর আক্তার
কেয়া বলেন, “ভাই কী আর বলব আপনাকে, চিড়িয়াখানার শিশুপার্কে যে অবস্থা । টিকিট নিয়ে
প্রবেশ করতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো।”
তবে বাচ্চাদের সঙ্গে তারাও খুব আনন্দ
করছেন বলে জানান কোহিনুর।
একই চিত্র রংপুরের বদরগঞ্জ রোডে মুক্তিযুদ্ধের
স্মৃতিবিজড়িত নিসবেতগঞ্জের রক্ত গৌরব চত্বর এলাকায়। সেখানে গড়ে উঠেছে প্রয়াস সেনা বিনোদন
পার্ক। ঘাঘট নদীর অংশবিশেষ ও পার্শ্ববর্তী বিস্তৃত নিচু এলাকায় সবুজে সাজানো এই বিশাল
পার্কের পরিবেশ কোলাহলমুক্ত।
পার্কসহ ঘাঘটের আশপাশ ঘুরে দেখতে
সেখানে ভিড় করছে বিনোদন পিপাসুরা।
রংপুর বিনোদন উদ্যান ও চিড়িয়াখানার
ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো. আমবার আলী তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিধিনিষেধ
না থাকায় চিড়িয়াখানাসহ রংপুরের সকল বিনোদন কেন্দ্র খোলা রয়েছে। দুবছর পর শিশু-কিশোরাসহ
সব বয়সী মানুষ স্বস্তিতে ঘুরতে বেরিয়েছে।