বুধবার গত একদিনে দেশে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যু না হওয়ায় মহামারীর মধ্যে টানা চতুর্দশ দিন মৃত্যুহীন পার করেছে বাংলাদেশ। এতে আগের মতই মৃত্যুর সংখ্যা রয়েছে ২৯ হাজার ১২৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর দিকে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে একটানা ১৪ দিন কখনই মৃত্যুহীন যায়নি না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনের তথ্যে দেখা যায়, ঈদের সময়েও গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেওয়া হয়; যাদের সাত জন ঢাকার ও তিনজন সিলেটের।
নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার শুন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য শুন্য দশমিক ৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৩ জন।
গত ২০ এপ্রিলের পর কোভিডে নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭ জন আছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৫২ জন। তাদের নিয়ে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৫৩১ সুস্থ্য হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৫ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৪১ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৪৯ লাখের বেশি।