মাত্র এক সপ্তাহ আগেই উত্তর কোরিয়া ‘যত দ্রুত গতিতে সম্ভব’ পারমাণবিক শক্তিতে বলীয়ান হওয়ার অঙ্গীকার করার পর বুধবার এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এই খবর জানিয়েছে।
চলতি বছরে এটি উত্তর কোরিয়ার ১৪তম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল ক্ষমতা নিচ্ছেন আগামী ১০ মে তে। তার আগে দিয়ে উত্তর কোরিয়া এই অস্ত্র পরীক্ষা করল।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া আরেকটি নতুন ট্যাকটিক্যাল গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। সামনের সারির দীর্ঘ পাল্লার আর্টিলারি ইউনিটের যুদ্ধে এই ক্ষেপণাস্ত্র নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি বাড়াবে বলে তখন জানানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মধ্যেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে নিজেদের শক্তির জানান দিচ্ছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে তারা উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এর সুনান এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৭৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার (২৯২ মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া এর আগে গত ২৪ মার্চে এই পিয়ংইয়ং থেকেই সবচেয়ে বড় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) হোয়াসং-১৭ উৎক্ষেপণ করার কথা জানিয়েছিল।
সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ (জেসিএস) অবিলম্বে উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, “সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উত্তর কোরিয়ার দফায় দফায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কেবল কোরিয়া উপদ্বীপই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এবং ভাবি প্রেসিডেন্ট উভয়ের কার্যালয় থেকেই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইয়ুনের দল উত্তর কোরিয়ার এ ধরনের কার্যকলাপের কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।